ধর্য্য:
আবুল হাসান সেরাজ বর্ননা করেন: একবার মক্কায় তোয়াফ করার সময় এক মেয়ের চেহারার আমার নজরে পড়ে। তার চেহারা এত উজ্জল ছিল যে আমার জীবনে এরকম আমি দেখি নি। আমি তাকে গিয়ে বললাম, "তোমার চেহারা এত উজ্জল যে তোমার জীবনে মনে হয় কোনো কস্ট নেই।"
সে বললো "আপনি কি বলছেন? দুঃখের সাগরে আমি ডুবে আছি। এবং এই দুঃখ শেয়ার করার মত আমার কেউ নেই।"
জিজ্ঞাসা করলাম, "কেন? কি হয়েছে তোমার?"
বললো "আমার স্বামী এই কোরবানিতে একটা ছাগল কোরবানী করেছিলো। আমার দুই ছেলে খেলার সময় কিভাবে কোরবানী করেছে দেখানোর সময় একজন অন্যজনকে মেরে ফেলে। ভয়ে অন্যজন পাহাড়ে লুকায়। তাকে বাঘে খেয়ে ফেলে। আমার স্বামি তাকে খুজতে গিয়ে পানির পিপাসায় মারা যায়। আমার কোলে আমার তৃতীয় ছেলে ছিলো। স্বামীর খোজে আমি ছেলেকে রেখে দরজার কাছে যাই। এই সময় ছেলে চুলার কাছে গিযে হাড়ি টান দিয়ে গরম পানিতে পুড়ে মারা যায়।
আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। সে স্বামির বাড়িতে এই সব দুর্ঘটনার কথা শুনে বেহুশ হয়ে মারা যায়।
এই সবকিছুর পরে আল্লাহ তায়ালা শূধু মাত্র আমাকেই জীবিত রেখেছেন। সবর আর বে-সবরের মাঝে আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমার কস্ট যদি পাহাড়ের উপর পড়তো তবে সেটাও টুকরো হয়ে যেতো। কিন্তু আমি ধর্য্য ধরে চোখে পানিকে সামলিয়েছি।
আমার চোখের পানি গোপনে আমার অন্তরের উপর ফোটায় ফোটায় পড়ে।"
___________
ফাজায়েলে হজ্জে বর্নিত কাহিনী। এটা সহি না নাসহি সেটা ভিন্ন কথা। তবে আমার ধর্য্য এখনো বসা থেকে উঠে দাড়াতে পারে নি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর রহম করুন। আর হাশরের মাঠে যাদের পথ ধরে আমরা চলছি তাদের সাথে মিলিয়ে দিন।