ক্যলিফোর্নিয়া:
আমেরিকার স্বাধিনতার সময় এটা ছিলো মেক্সিকোর অংশ।
১৮৫০ এর দিকে যুদ্ধ করে আমেরিকা এটা দখল করে। এর পর গন হারে সবাই ক্যলিফোর্নিয়াতে "হিজরত" করা আরম্ভ করে।
ঐ সময় বলা হতো ক্যলিফোর্নিয়া হলো খৃস্টানদের জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুত এলাকা। "বরকতময়" এবং সামনে খৃস্টানদের জন্য শুভদিন আসছে।
সত্যি এসেছিলো। আরম্ভ হয়েছিলো ক্যলিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ। স্বর্ন পেয়ে রাতা রাতি বড়লোক হবার জন্য পাগলের মত দৌড়।
এই গোল্ড রাশ এখনো চলছে। তবে গোল্ডের বদলে সিলিকন। সিলিকন ভ্যলিতে।
বাংগালিরা আমেরিকানদের যত খারাপ মনে করুক না কেন, আমেরিকানদের অধিকাংশ কিন্তু নাস্তিক না। তবে ক্যলিফোর্নিয়ার অধিকাংশ নাস্তিক। আর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি গে হলো ক্যলিফোর্নিয়াতে।
স্বভাবতই ২০০০ সালের পর থেকে তাদের এই প্রমিজড ল্যন্ডে আল্লাহ তায়ালা আজাব পাঠানো আরম্ভ করেছেন।
একই সাথে এখানে চলছে বছরের পর বছর ধরে ঐতিহাসিক খরা। জমি ফেটে চুরমার। বিশাল বিশাল লেক শুকিয়ে যাচ্ছে এক রাতে।
এর সাথে চলছে কিছু এলাকায় হটাৎ বন্যা।
এর সাথে আগুন। একেবারে মুভির মত। মাইলের পর মাইল ধাউ ধাউ করে। হাজার হাজার বাড়ি পুড়ে গিয়েছে।
এর পর ভুমিকম্প। এর সাথে ভুমিধ্বস। জমি হটাৎ করে দেবে যাচ্ছে।
এখন নতুন যোগ হয়েছে জমি হটাৎ করে ঠেলে উপরে উঠে যাওয়া।
২০০২ সালে ইরাকে আমেরিকার সন্য প্রথম ঢুকার পর এক ইরাকি তাদের "হোটেল ক্যলিফোর্নিয়া" গানটা শুনিয়ে দিয়েছিলো। খবরে সেটা প্রকাশের পর, নেটে আমেরিকানরা বলা বলি করছিলো আমেরিকানরা মধ্যপ্রাচ্যে ঢুকতে পারবে, কিন্তু "হোটেল ক্যলিফোর্নিয়া" থেকে বেরুতে পারবে না। গানে যেরকম বলা হয়েছে।
ক্যলিফোর্নিয়া, ডে অফ রেকনিং হয়তো চলে আসছে।
watching.