উপার্জন ও খরচের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত।
হাদীসে এরই শিক্ষাদান করা হয়েছে,
"তোমরা দুনিয়া সন্ধানে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। মনে রেখ প্রত্যেকের জন্য তা থেকে যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সে কেবল তাই পাবে।"
(মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস : ২১৩৩; মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১৬০২)
এবং আরো বলা হয়েছে,
"ঐশ্বর্য অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যে হয় না। মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত ঐশ্বর্য।"
(সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৪৪৬, সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৫১)
আয়ের মত ব্যয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে মধ্যপন্থার নির্দেশ। ইরশাদ হয়েছে,
(দয়াময় আল্লাহর বান্দা তারা ...) এবং যারা ব্যয় করার সময় অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না; বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়। (ফুরকান : ৬৭)
আরও ইরশাদ হয়েছে,
"(কৃপণতাবশে) নিজের হাত ঘাড়ের সাথে বেঁধে রেখ না এবং (অপব্যয়ী হয়ে) তা সম্পূর্ণ খুলেও রেখ না। যদ্দরুণ তোমাকে নিন্দাযোগ্য ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়তে হবে।" (বনী ইসরাঈল : ২৯)
মোটকথা কার্পণ্যও নয় ও অপব্যয়ও নয়। বরং সুচিন্তিতভাবে যেখানে যা প্রয়োজন তা ব্যয় করাই ইসলামের নির্দেশ। এটাই মধ্যপন্থা। এভাবে চললে উপার্জনে বরকত হয় ও অর্থকষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
"যে ব্যক্তি পরিমিত ব্যয় করে সে নিঃস্ব হয় না।"
(মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৪২৬৯ তবারানী কাবীর, হাদীস ১০১১৮; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস : ৬১৪৯)
(collected)