জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার মুফতি মনসুরুল হকের মসজিদে জুম্মা পড়ে আসলাম। গিয়েছিলাম একটু গাইডেন্সের জন্য। কি করবো আর কি করবো না, এ সময়ে কোন দিকে যাবো এ নিয়ে যদি কিছু বলতেন।
কিন্তু এ নিয়ে কিছুই বল্লেন না। উনি নিজে এন্টি-পলিটিক্স মানুষ। হয়তো এর আগের জুম্মাগুলোতে কিছু বলে থাকতে পারেন। এখন ইসুটা আর পিকে না।
শুধু বললেন, "আজকাল রাস্তার মোড় মোড়ে 'তুমি কে, আমি কে, বাংগালি বাংগালি' পড়িয়ে মুসলিমদের বাংগালি বানানো হচ্ছে। ঐতিহাসিক ভাবে হিন্দুদেরকে বলা হতো বাংগালি। বংকিম চন্দ্র, শরৎ চন্দ্র এর জন্য লিখেছিলেন বাংগালির সাথে মুসলিমদের খেলা হচ্ছে। বৃটিশ আমলেও পেপারে বাংগালি বনাম মুসলিমদের ফুটবল মেচ হবে এই রকম টাইটেল ছাপানো হতো খবরের কাগজে। ওগুলো দেখে ওই সময়ের মুসলিমরা রোজাও রাখতো যেন মুসলিমদের দল খেলায় জিতে। কলকাতার যে এলাকায় শুধু হিন্দুরা থাকে একজন মুসলিম পরিবারও থাকে না, সে এলাকার নাম হিন্দু পাড়া না, বাংগালি পাড়া।"
বললেন, "এসব শিখানোর উদ্দ্যেশ্য হল প্রথমে বু্ঝানো তোমরা বাংগালি। এর পর বুঝানো তাই বাংগালি সংস্কৃতি অনুসরন কর। মৃর্তি পুজা কর, মঙ্গল প্রদিপ জ্বালাও। সব প্রাচিন বাংগালি সংস্কৃতি হল হিন্দুদের সংস্কৃতি। এই মঞ্চগুলোতে কোন একজন হিন্দুকেও মুসলিম বানানো হয়েছে এ কথা কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু মুসলিমদের দলে দলে হিন্দু বানানো হচ্ছে। এটা আকবরের দ্বীনে ইলাহির মত। আকবর কোন হিন্দুকে মুসলিম বানান নাই। কিন্তু সারা দেশের মুসলিমদেরকে হিন্দু বানিয়ে ছেড়েছিলেন।"
হুম! সাধারনতঃ বেশির ভাগ কথার বিপরিত যুক্তিগুলোও আমার জানা থাকে। এ জন্য তর্ক কম করি। আমি নিজেও যুক্তির অনুসরন করি না, কারন যেহেতু দুদিকের যুক্তিই জানি। কিন্তি উনার কথার বিরুদ্ধ য়ুক্তি খুজে পেলাম না।
শুধু বু্ঝলাম ওই দলে না যাওয়াটা আমার জন্য তাহলে ঠিক ছিল।