Hate begets hate.
একটা কথা সত্য যে ঘৃনা প্রকাশ, মানুষকে তার ঘৃনীত বস্তুর মত করে ফেলে।
ইউটিউবে এক জনপ্রীয় আরব মুসলিম, নাস্তিকদের প্রচন্ড আক্রমন করে বক্তব্য দিতো। শেষে সেটা ঘৃনার দিকে চলে গিয়েছিল। বিশেষ করে যারা মুসলিম থেকে নাস্তিক হয় তাদের।
এরকম ২০-২৫ টা পোষ্ট দেবার পর দু বছরের মাথায় এক দিন সে নিজেই নাস্তিক হয়ে যায় ঘোষনা দিয়ে।
এখন আমি আতংকে আছি শাহবাগীদের প্রতি আমার অসমর্থন ঘৃনার পর্যায়ে চলে গিয়েছে কিনা সেটা নিয়ে । সে ক্ষেত্র আশংকা আছে আল্লাহ তায়ালা আমাকে না তাদের মত করে ফেলেন। অথচ তাদের প্রথম উদ্দ্যেশ্য হয়তো ছিল মহৎ। তাদের ব্লগার পিতাদের অতীত পাপের বোঝা তাদেরকে পরাজিত করেছে। যেমন কিনা জামাতিদের পিতাদের অতীত পাপ বোঝা তাদের ধ্বংশ করেছে।
এ নিয়মের রিফ্লেকশন আমি সব জাগায় দেখতে পারছি। 'অসাম্রদায়িক'রা সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে প্রচন্ড ঘৃনা প্রকাশ করতে করতে সেই গ্রুপ এখন আর একটি সাম্প্রদায়িক দলে পরিনত হয়েছে। 'জামাত'কে আরেকটি প্রতিপক্ষ সম্প্রদায় বানিয়ে তাদের কতল করাটা এই 'অসাম্প্রদায়িক' দল জায়িজ ফেলেছে। জামাতের মাঝে কে দোষি কে নির্দোষি সেটা ফেক্টর না। জামাত সম্প্রদায় ভুক্ত হলেই তাদের কতল কর।
অনেকটা এ উপমহাদেশের 'বিধর্মিদের' কতল করার ইতিহাসের মত। কারন হয়তো কোন এক জন হিন্দু বা মুসলিম অন্য সম্প্রদায়ের কাউকে মেরেছে। তাই তাদের সব হিন্দু বা সব মুসলিমদের কতল কর। এটার নামই সাম্প্রাদায়িকাতা।
Haters will always hate.
আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি আমার অন্তরে ঘৃনা আসা থেকে । আশ্রয় চাইছি উনার অপছন্দের লোকদের মত হওয়া থেকে।
আমিন।