অতিরিক্ত "কুফরের" সাইড ইফেক্ট কি?
//
ইয়াসির কাজি একটা ঘটনা বর্ননা করছিলেন। ইবনে মুআম্মার। "কুফরের ১০টি মূল কারনের" লিখককে ইবনে মুআম্মার সাপোর্ট দিয়েছিলেন। আশ্রয় দিয়েছিলেন।
এর পর এক হাম্বলি আলেম ঘোষনা করেন এই লিখক অতিরিক্ত করছে। খেয়াল করেন হাম্বলি যেখান থেকে তাদের উৎস। হানাফি না। তখন ইবনে মুআম্মার সেই হাম্বলি লিখকের সাথে কিছু চিঠি চালা চালি করে। সন্দেহে পড়ে যায় "কুফরের ১০টি কারন" এর লিখকের শিক্ষা আসলেই ঠিক কিনা।
//
ইয়াসির কাজি এর পর তারিখ ধরে বললেন। জুম্মার নামাজের পরে মসজিদে ইবনে মুআম্মারকে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করা হয়।
জু্ম্মার নামাজের পরের সিগনিফিকেন্স কি? ভিকটম এতটুকু মুসলিম ছিলেন যে জুম্মার নামাজও পড়েছিলেন। কিন্তু এর পরও কাফের। এত বড় কাফের যাকে মসজিদে হত্যা করা যায়।
//
তার কুফর কি ছিলো? উনি সন্দেহ করছিলেন "কুফরের ১০ কারন" এর লিখকের কথা আসলেই ঠিক কিনা।
কিন্তু এটা তো সত্যি হতে পারে না। নিশ্চই ইয়াসির কাজি বাড়িয়ে বলেছেন। বা কিছু গোপন করছেন।
//
কুফরের ১০ কারনের লিষ্ট শেয়ার করেছিলাম গতকাল। এখন পড়ে দেখলাম। এর তিন নম্বর কারন। "কেউ যদি সন্দেহ করে যে কাফের কাফের কিনা তবে সেও কাফের"। অস্বিকার করার দরকার নেই। সন্দেহ করলেই হলো।
তাই মিলে। কেন লিখা হয়েছে এই কথা সেটাও বুঝা যায়।
ইবনে মুআম্মার সন্দেহ করছিলেন এই আকিদার প্রচার প্রসারক যাদের কাফের বলছেন তারা আসলেই কাফের কিনা।
//
"তবে আল্লাহ তায়ালা আছেন কিনা সেটা সন্দেহ করলে কি কাফের হবে?"
এটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই সংক্ষিপ্ত লিষ্টে। তবে এই সংক্ষিপ্ততার মাঝেও স্পষ্ট করে বলা আছে কেউ যদি আমি যাদের কাফের বলি তাদেরকে কাফের বলে সন্দেহ করে তবে সেও কাফের। অস্বিকার করা পর্যন্ত যাবার দরকার নেই।
//
প্রশ্নটা ছিলো অতিরিক্ত "কুফর কুফর" এর সাইড ইফেক্ট কি?