আমি আলেম না। তাই হানাফির মাসলা মাসায়েলের জেনারেল রুলগুলো আমি আওড়াতে পারি। কিন্তু আপনার স্পেসিফিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। কারন আমার লাইসেন্স নেই।
তাই কমেন্টের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি না। জানি যে একটা প্রশ্নের উত্তর দিলে এর পর ২ টা প্রশ্ন পড়বে। সেদুটো দিলে এর পর ৪ টা নতুন প্রশ্ন বিভিন্ন জনদের থেকে।
এর পর সে ৪ টার উত্তর দিলে ৮ টা। চারদিকে রটবে "ঐ দেইখা যা। একজনে প্রশ্নের উত্তর দিতাছে যা জিগাই তাই। আলেমদের জিগাইলে তো হেরা কতাই কয় না।"
এভাবে ১৬ টা -- ৩২টা -- ৬৪ -- ১২৮ -- ২৫৬ -- ৫১২ -- ১০২৪ -- এক মাসের মাঝে ২০৪৮। তখন অন্যান্য আলেমদের টনক নড়বে। ঘটনা কি? "এই বেডা কেডা?"
এর পর দেখবেন শায়েখ আহমেদুল্লাহ আমাকে নিয়ে এপিসোড করেছে। "আবার এখন ফেসবুকে দেখছি কেউ কেউ ... আমরা আলেম ছাড়া অন্যদের ফতোয়া না নেই ... এদেরকের প্রত্যাখান করি ..."। এর পর পরই এক লাফে আমার আরো ২০০০ ফলোয়ার বেরে যাবে আইডিতে এসে "তামাশা" দেখতে। এর পর আমি ফেসবুকে যে সকল হানাফি আলেমদের ভক্ত তাদেরকেই দেখবো আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে।
এখন সালাফি, জিহাদি বা সুন্নি কোনো দলের কোনো কুফরি ফতোয়ায় আমার গায়ে কিছু লাগে না কারন আমি তাদের মাজহাব-মানহাজের অনুসারি না। কিন্তু হানাফি দেওবন্দি মানে আমার নিজের আলেমরা যদি আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয় তবে আমি শেষ।
এই অবস্থায় গিয়ে ঠেকলাম কেন?
ঐ যে প্রথম একটা কমেন্টের প্রশ্নের মাসলার উত্তর দিয়েছিলাম সে কারনে।
তাই কোনো উত্তর দেই না।
নিজের সময় বাচান। কমেন্টে প্রশ্ন করে লাভ নেই। কমেন্টে আপনি ঠিক বলেন বা ভুল আমি জবাব দেবো না। মানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো কোনো জবাব না দিতে। শয়তানে যদি আমাকে না ধরে তবে।
জাজাকাল্লাহ। :-)