#আশা সকল পোষ্ট একসাথে।
এগুলো লিখেছিলাম যখন চারিদিকে নিরাশা আর ভয় বেশি হয়ে গিয়েছিলো তখন।
//
আল্লাহ তায়ালা বলেন হাদিসে কুদসিতে :
يا ابن آدم،
হে আদম সন্তান
إنَّك مادعوتني ورجوتني غفرتُ لك على ما كانَ منكَ ولا أُبالي؛
যতক্ষন তুমি আমাকে ডাকবে, আর আমার দিকে রুজু করবে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো যাই করে থাকো -- আমি কেয়ার করি না।
يا ابن آدم،
হে আদম সন্তান
لو بلغتْ ذنوبُك عنانَ السماء ثم استغفرتَني غفرتُ لكَ ولا أبالِي؛
যদি তোমার পাপ আকাশ ছুয়ে যায়, এর পর আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে মাফ করে দেবো -- আমি কেয়ার করি না।
يا ابنَ آدمَ، لو أنك أتيتَني بقُرابِ الأرضِ خطايا ثمَّ لقيتَني لا تشرك بي شيئا لأتيتُك بقرابِها مغفرة.
হে আদম সন্তান। যদি তুমি আমার কাছে পৃথিবীর সমান দোষ নিয়ে আসো এর পর আমার সাথে দেখা করো কারো সাথে আমাকে শরিক না করে তবে আমি তোমাকে দেবো এর সমান পরিমান মাফ।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/introduction/442
আমরা আল্লাহর দিকে ফিরছি।
//
আবু যর রাঃ কে রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন
مَا مِنْ عَبْدٍ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. ثُمَّ مَاتَ عَلَى ذَلِكَ، إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ
বান্দাদের মাঝে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। আর এর উপর সে মারা যাবে। সেই জান্নাতে যাবে।
আবু যর রাঃ বললেন,
যদিও সে জেনা করে চুরি করে?
উনি ﷺ বললেন : যদিও সে জেনা করে চুরি করে।
আবার বললাম, যদিও সে জেনা করে চুরি করে?
উনি ﷺ বললেন : যদিও সে জেনা করে চুরি করে।
আবার বললাম, যদিও সে জেনা করে চুরি করে?
উনি ﷺ বললেন :
যদিও সে জেনা করে চুরি করে।
যদি আবু যর সেটা অপছন্দ করে তবুও।
বুখারি শরিফের হাদিস।
https://sunnah.com/bukhari/77/44
//
আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ এর বর্ননা :
حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ كُنْتُ كَتَمْتُ عَنْكُمْ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
উনার যখন মৃত্যুর সময় চলে আসে তখন তিনি বলেন : আমি তোমাদের থেকে একটা কথা গোপন রেখেছিলাম যেটা আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছি।
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
لَوْلاَ أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ
যদি তোমরা গুনাহ না করতে
لَخَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا يُذْنِبُونَ يَغْفِرُ لَهُمْ
তবে আল্লাহ এমন মাখলুক সৃষ্টি করতেন যারা গুনাহ করবে আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন।
https://sunnah.com/muslim/50/11
//
বার্ধক্য :
১
ইব্রাহিম আঃ এর দাড়ি প্রথমে সাদা হওয়া আরম্ভ করে। উনি জিজ্ঞাসা করলেন "ইয়া রব এটা কি?" আল্লাহ তায়ালা জবাব দিলেন এটা আমার রহমত। বললেন "তবে আপনার রহমতকে আমার জন্য বাড়িয়ে দিন।"
২
পেকে যাওয়া চুল দাড়ি থেকে হাশরের মাঠে সাদা লাইটের মতো আলো বের হতে থাকবে। কাচাগুলো থেকে না। তাই পাকা চুল তোলা নিষেধ।
৩
কাহিনি : এক লোক মারা যাবার পরে স্বপ্নে তাকে দেখে সংগি জিজ্ঞাসা করে তোমার ব্যপারে আল্লাহ কি ফয়সালা করেছেন? বলেন আমি প্রায় ধ্বংশ হয়ে যেতে লেগেছিলাম। বললাম "হে আল্লাহ এটা তো আমি আশা করি নি!"
উনি বললেন "তবে কি আশা করেছিলে?"
বললেন আমার কাছে আপনার থেকে জিব্রীল থেকে মুহাম্মদ ﷺ থেকে সাহাবা থেকে সমস্ত রাবির নাম নিয়ে বললেন তাদের থেকে খবর এসেছে যে ঈমানের উপর থেকে বার্ধক্যে পৌছে তাকে আযাব দিতে আপনি লজ্জা বোধ করেন।
আল্লাহ তায়ালা জাবাব দিলেন : তারা সবাই সত্য বলেছে। এর পর আমাকে ক্ষমা করেন।
৪
প্রথমটা আলবিদায়াতে আছে। দ্বিতীয়টা হাদিসের প্রসিদ্ধ কিতাবে আছে। তৃতীয়তটা বিভিন্ন কিতাবে আছে, ফাজায়েলে আমল সহ। আরবিতে খুজলে পাবেন।
//
قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلاَثَةِ أَيَّامٍ يَقُولُ
রাসুলুল্লাহ ﷺ উনার মৃত্যুর তিন দিন আগে বলেছেন
لاَ يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلاَّ وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লাহর উপর ভালো আশা না রেখে যেন তোমাদের কোনো একজনও মারা না যায়।
https://sunnah.com/muslim/53/100
//
গুনিয়াতুত তালেবিন পড়ছিলাম। আব্দুল কাদের জিলানির লিখা যিনি হাম্বলি ছিলেন।
বলছিলেন কবিরা গুনাহের কথা। বললেন কবিরা গুনাহ কারো মতে ৪ টা, কারো মতে ৭ টা। সর্বোচ্চ ১৭ টা লিষ্ট করলেন। বাকি সব গুনাহ সগিরা। বললেন কবিরা গুনাহের সংখ্যা অস্পষ্ট রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য।
টপ ১৭ টা মাত্র সবচেয়ে বড় গুনাহর লিষ্ট। তাতে চোখে পড়লো এটা : আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া।
তাই আশা। নিরাশ না হই। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা হাশরে ক্ষমা করবেন। অন্তরকে পরিষ্কার রাখি।
//
فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন :
أَتَرَوْنَ هَذِهِ طَارِحَةً وَلَدَهَا فِي النَّارِ
তোমরা কি ভাবতে পারো এই মা তার সন্তানকে আগুনে ফেলবে?
قُلْنَا لاَ وَهْىَ تَقْدِرُ عَلَى أَنْ لاَ تَطْرَحَهُ
আমরা জবাব দিলাম : না! যদি তার সামর্থে থাকে আগুনে না ফেলা।
فَقَالَ اللَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا
উনি ﷺ বললেন : বান্দাদের প্রতি আল্লাহর রহম এই মায়ের থেকে বেশি।
এটাই শেষ আশা।
//
আশা আর ভয় হাত ধরা ধরি করে চলে। একই অন্তরে আশা আর ভয় দুটোই এক সাথে থাকে কি করে? এটা পথযাত্রীদের পুরানো প্রশ্ন। বড়রা উত্তর দিয়ে গিয়েছেন, একসাথেই থাকে। দুই ডানার মতো।
কারো জন্য আশা তাকে আমলে বেশি উৎসাহি করে।
কারো জন্য ভয় তাকে আমলে বেশি উৎসাহি করে।
অন্তরে কখনো ভয়ের প্রাবল্য আসে।
আবার অন্য সময়ে আশার প্রাবল্য।
বয়সের প্রথম দিকে ভয় বেশি থাকা ভালো, যেন গুনাহ থেকে বাচতে পারে।
শেষ বয়সে আশা বেশি। মৃত্যুর আগে।
//
১
হাশরের দিন।
প্রথম দিকে আল্লাহ তায়ালা প্রচন্ড রেগে থাকবেন।
শেষের দিকে এসে উনার করুনা-ক্ষমা ঝড়াতে থাকবেন।
শেষে এত বেশি মাগফিরাতের বৃষ্টি!
যে ইবলিস পর্যন্ত আশায় মুখ তুলে থাকবে
তাকেও না মাফ করে দেয়া হয়।
২
শেষ লোক যে জান্নাতে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা ফিরিস্তাদের বলবেন তার কবিরা গুনাহগুলো সরিয়ে রাখো। ছগিরা গুনাহগুলো তার সামনে হাজির করো।
ফিরিস্তারা তাই করবে। এর পর তাকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকবে তুমি কি এটা করেছো? তুমি কি ওটা করেছো?
অস্বিকার করার উপায় নেই। সে স্বিকার যাবে। আর মনে মনে ভাববে সগিরা গুনাহগুলোতে এই অবস্থা। হায়, কবিরা গুনাহ যেন না আসে, যেন না আনে।
এর পর আল্লাহ তায়ালা বলবেন। তোমাকে ক্ষমা করা হলো। আর তোমার প্রতিটা গুনাহর জায়গায় একটা করে নেকি দিয়ে দেয়া হলো।
গুনাহর জায়গায় নেকি মানে দুনিয়ায় সে যত বেশি গুনাহ করেছে, তত বেশি নেকি।
কিছুক্ষন আগে সে চিন্তা করছিলো ইশ যেন কবিরা গুনাহ না আনে।
এখন সে বলবে : আমার তো আরো গুনাহ আছে -- সেগুলো যে দেখছি না।
৩
আশা রাখি।
ইনশাল্লাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
ঈমান নিয়ে মৃত্যু বরন করি।
নিজের অন্তরকে পরিষ্কার রাখি।
আল্লাহ তায়ালা যাকে ভালোবাসেন।
শেষ আশা।
//
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন
ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ
আমাদের রব উনার বান্দাদের হতাশা দেখে হাসেন, কারন শিগ্রি তার অবস্থাকে পরিবর্তিত করে দেবেন।
قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ يَضْحَكُ الرَّبُّ
আমারা জিজ্ঞাসা করলাম : ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের রব কি হাসেন?
قَالَ " نَعَمْ "
বললেন : হ্যা।
قُلْتُ لَنْ نَعْدِمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا
আমরা বললাম : তবে যে রব হাসেন উনার ভালো থেকে আমরা বঞ্চিত হবো না।
https://sunnah.com/urn/1301850
//
أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
আবু হুরাইরা রাঃ বলেন শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
إِنَّ عَبْدًا أَصَابَ ذَنْبًا وَرُبَّمَا قَالَ أَذْنَبَ ذَنْبًا
কোনো বান্দা গুনাহ করলো
فَقَالَ رَبِّ أَذْنَبْتُ ـ وَرُبَّمَا قَالَ أَصَبْتُ ـ فَاغْفِرْ لِي
এর পর বললো : আমার রব! আমি গুনাহ করে ফেলেছি! মাফ করেন!
فَقَالَ رَبُّهُ أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِي
তার রব বলেন : আমার বান্দা জানে যে তার একজন রব আছে যে মাফ করে বা ধরে। আমার বান্দাকে আমি মাফ করলাম।
ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ أَصَابَ ذَنْبًا أَوْ أَذْنَبَ ذَنْبًا، فَقَالَ رَبِّ أَذْنَبْتُ ـ أَوْ أَصَبْتُ ـ آخَرَ فَاغْفِرْهُ.
এর পর আল্লাহ যতদিন চান সে বিরত থাকে। এর পর সে আবার গুনাহ করে ফেলে। বলে আমার রব আমি অন্য গুনাহ করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করেন।
فَقَالَ أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِي
আল্লাহ বলেন : আমার বান্দা জানে যে তার রব আছে যে তাকে মাফ করতে পারে বা পাকড়াও করতে পারে। আমি আমার বান্দাকে মাফ করলাম।
ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أَذْنَبَ ذَنْبًا ـ وَرُبَّمَا قَالَ أَصَابَ ذَنْبًا ـ قَالَ قَالَ رَبِّ أَصَبْتُ ـ أَوْ أَذْنَبْتُ ـ آخَرَ فَاغْفِرْهُ لِي
এর পর সে আল্লাহ যতদিন চান বিরত থাকে। আবার গুনাহ করে ফেলে। বলে আমার রব আমি আরেকটা গুনাহ করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করেন।
فَقَالَ أَعَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ـ ثَلاَثًا ـ
আল্লাহ বলেন : আমার বান্দা জানে যে তার রব আছে যে তাকে ক্ষমা করতে পারে বা এর জন্য ধরতে পারে। তৃতীয়বার বলেন।
فَلْيَعْمَلْ مَا شَاءَ
এর পর আল্লাহ বলেন : এখন সে যা চায় করুক।
বুখারি শরিফের হাদিস।
//
مَنْ مَاتَ
যে মরলো
وَهُوَ يَعْلَمُ
আর সে জানতো
أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
যে আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নেই
دَخَلَ الْجَنَّةَ
সে জান্নাতে যাবে।
.
https://sunnah.com/muslim/1/43
//
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ
আবু হুরাইরা রাঃ বলেন
أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُْ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ * اللَّهُ الصَّمَدُ )
আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সংগে বসে ছিলাম। শুনলাম একজন পড়ছে : "কুলহু আল্লাহু আহাদ, আল্লাহু সামাদ..."
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَجَبَتْ "
রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন : ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে তার জন্য।
قُلْتُ وَمَا وَجَبَتْ
জিজ্ঞাসা করলাম : কি ওয়াজিব হয়েছে?
قَالَ الْجَنَّةُ
জবাব দিলেন : জান্নাত!
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
আবু ঈসা বলেন এই হাদিস হাসান সহি গরিব।
https://sunnah.com/urn/731360
#habiball