#আল্লাহর_বান্দা সকল পোষ্ট
এগুলো একটা একটা করে পোষ্ট করেছিলাম। এখন সবগুলো একত্রে। এক পোষ্ট। মিনহাজুল আবেদিন থেকে আল্লাহর বান্দাদের কাহিনি।
//
আসফেয়ার শহরের আবু ইসহাক বলেন :
আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে ৩০ বছর যাবৎ তৌবাতুস নসুহা করার তৌফিকের জন্য দোয়া করেছি। ৩০ বছর পরে চিন্তা করলাম, "সোবহানাল্লাহ! তিরিশ বছর যাবৎ কেবল একটা দোয়া করলাম তাও কবুল হলো না?"
এর পর দেখতে পেলাম একজন আমাকে বলছে : এতেই তুমি অবাক হয়ে গিয়েছো? তুমি খেয়াল করে দেখেছো তুমি কিসের জন্য দোয়া করছো? তুমিতো আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসার জন্য দোয়া করছো, কারন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন : ইন্নাল্লাহা ইউহুব্বুত তাওয়াবিন, ওয়া ইউহুব্বুল মুতাতাহহিরিন। তুমি কি সেই ইমামদের দেখো না যারা নিজেদের অন্তরকে পরিষ্কার রাখার জন্য কত চেষ্টা করছে, আর আখিরাতের জন্য কত প্রস্তুতি নিচ্ছে?
//
এক বুজুর্গ বলেন :
এক জায়গায় দেখলাম অনেক মানুষ তীর ছোড়া প্রেকটিশ করছে। তাদেরকে দেখতে দেখতে কিছ দূরে দেখি একজন একা বসে আছে। তার কাছে যাই কিছু কথা বলতে।
সে আমাকে বলে : তোমার সাথে কথা বলার থেকে আল্লাহর জিকির করা আমার পছন্দ।
: তবে একা একাই জিকির করবেন?
: আমার সংগে আমার রব আছেন, আর কাধে দুই ফিরিস্তা।
: তবে কখন মানুষ এরকম করে জিকির করতে পারে?
: আল্লাহ যখন কারো গুনাহ মাফ করে দেন তখন।
: সেই মাগফিরাত পাবার উপায় কি?
সে এর জবাবে কেবল আংগুল দিয়ে আকাশের দিকে ইংগিত করে।
এর পর আমাকে ছেড় উঠে চলে যায়।
//
মুহাম্মদ বিন ইউসুফ বলেন :
সুফিয়ান থাউরি এক রাতে ইবাদত করার বদলে বসে বসে চিন্তায় সারা রাত পার করে দিলেন। আর কাদতে লাগলেন।
জিজ্ঞাসা করলাম : গুনাহ মাফের জন্য এই কান্না?
বললেন : গুনাহ মাফ আল্লাহর জন্য সহজ। উনি আমার ঈমান ছিনিয়ে নেন কিনা সেই ভয়।
//
আবু ইয়াজিদ বুস্তামি বলেন :
আমি তিন বছর ধরে আল্লাহর ইবাদত করি।
এর পর দেখি একজন বলছে :
হে আবু ইয়াজিদ!
ইবাদতের পাত্র পূর্ন হয়ে গিয়েছে।
তবে লক্ষ্যে পৌছতে চাইলে এখন নিজেকে হেয় করো।
দীনতার পথ ধরো।
//
হাসান বসরি মারা যাবার পর একজন তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করেন "আল্লাহ তায়ালা আপনার সাথে কি ব্যবহার করেছেন?"
জবাব দিলেন : আল্লাহ আমাকে উনার সামনে দাড় করান। এর পর আমাকে জিজ্ঞাসা করেন :
"হে হাসান! সেই দুই দিনের কথা কি তোমার মনে পড়ে যখন তুমি মসজিদে নামাজে দাড়িয়েছিলে? মানুষ তোমাকে দেখছিলো! তাই তুমি আরো সুন্দর করে নামাজ পড়েছিলে?
যদি এখলাসের সাথে এর আগের কিছু আমল না থাকতো তবে আমার দরজা তোমার জন্য বন্ধ থাকতো।"
//
দাহাব বলেন :
এক লোক ৭০ বছর ধরে আল্লাহর ইবাদত করে। ৭০ বছর পরে আল্লাহর কাছে একটা দোয়া করে। সেই দোয়াটাও কবুল হয় না।
সে নিজেকে ধিক্কার দেয় : হে নফস। যদি তোর মাঝে বিন্দু মাত্র ভালো কিছু থাকতো তবে এই দোয়াটা হলেও আল্লাহ কবুল করতেন।
আল্লাহ তায়ালা তার কাছে খবর পাঠান : হে আবেদ। তোমার এই অল্প সময়ের ধিক্কারের দাম আগের ৭০ বছরের ইবাদতের থেকে বেশি।
//
জাফর সাবগি বলেন :
আমি আবুল মায়সারাল আবিদকে দেখেছি। ইবাদতে মেরুদন্ড বাকা হয়ে গিয়েছে। এর পরও ইবাদতে লেগে আছেন।
বললাম : আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। আশা রাখেন। আল্লাহর রহমত অনেক বিস্তৃত।
শুনে উনি রেগে গেলেন, "আমার মাঝে এমন কি দেখেছো যে তোমার মনে হলো আমি রহমত থেকে নিরাশ হয়ে আছি? বরং নেককার হবার চেষ্টা, কারন আল্লাহর রহমত নেককারদের কাছাকাছি।"
ان رحمة الله قريب من المحسنين
জাফর বলেন, উনার কথা শুনে আমার চোখে পানি চলে আসে।
//
ফোজায়েল ইবনে আয়াজ। উনার ছাত্র অসুস্থ, মারা যাবেন। ফোজায়েল তার কাছে বসে সুরা ইয়াসিন পড়ছে।
সে বললো : উস্তাদ এই সুরা পড়বেন না।
ফোজায়েল থেমে বললেন : তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ো।
বললো : পড়বো না, দরকার নেই।
বলে মারা গেলো।
ফোজায়েল কষ্টে নিজের ঘরে ফিরে গিয়ে ৪০ দিন পর্যন্ত কান্না করলেন। ঘর থেকে বের না হয়ে।
এর পর স্বপ্নে দেখেন তাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলেন
: কেন ঈমান তোমার থেকে কেড়ে নেয়া হলো? অথচ ছাত্রদের মাঝে তুমি ছিলে ভালো স্থানে।
বললেন : তিন কারনে। চোগলখুরি করতাম। আপনাকে আর সাথিদের ভিন্ন কথা বলতাম। দ্বিতিয়তঃ সাথিদের হিংসা করতাম। আর ডাক্তার বলেছিলো বছরে একবার মদ না খেলে আমার একটা রোগ ভালো হবে না। আমি অনিচ্ছায় হলেও খেতাম।
//
এক লোক মারা যাবার পরে অন্য জন তাকে স্বপ্নে দেখে।
তার চেহারা বিকৃত। দুই হাত কাধের সাথে বাধা।
জিজ্ঞাসা করে : কি হয়েছে তোমার ব্যপারে?
জবাব দেয় দুটো শের বলে :
تولى زمان لعبنا به
وهذا زمان بنا يلعب
"লম্বা সময় আমি কাটিয়েছি খেলে।
এখন সময় আমাকে নিয়ে খেলে।"
//
এক নেককার লোক। উনার ছেলে শহিদ হন। সে ছেলেকে কখনো স্বপ্নে দেখে না।
ওমর বিন আব্দুল আজিজ একদিন মারা যান। সে রাতে নিজের ছেলেকে স্বপ্নে দেখেন। জিজ্ঞাসা করেন
: তুমি মারা যাওনি?
: না। আমাকে শহিদ করা হয়েছে। আমি জিবিত আছি। আল্লাহর থেকে রিজিক পাই।
: তবে এতদিন দেখি নি কেন? আজকে যে?
: আসমানের সমস্ত নবি, সিদ্দিক আর শহিদদের বলা হয়েছে উমর বিন আব্দুল আজিজের জানাজায় শরিক হতে। তাই এসেছি। ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই।
//
মালেক বিন দিনার বলেন :
আমার এক প্রতিবেশি। মারা যাচ্ছে। দেখতে যাই। মৃত্যু পথ যাত্রি আমাকে বলে
: আমার সামনে আগুনের দুটো পাহাড় দেখছি। বেয়ে উঠছি। কষ্ট হচ্ছে।
পরিবারকে জিজ্ঞাসা করি। সে ব্যবসায়ি। দুটো ওজন মাপার পাথর রাখতো একটা দিয়ে মেপে মাল কিনতো, অন্যটা দিয়ে বিক্রি।
বুঝি কেন। পরিবারকে বলি দুটোই আনো। এর পর একটা নিচে রেখে অন্যটা দিয়ে জোরে মেরে দুটোই ভেঙ্গে ফেলি।
এতে তার তৌবা হবে?
তখনো জিবিত। কাছে যাই।
বলে : কষ্ট আরো বেড়েছে। কমে নি।
//
বালাম ইবনে বাউর।
মুসা আঃ এর সময় এক বুজুর্গ ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন ক্ষমতা দিয়েছিলেন যে আসমানে তাকালে সে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত সব দেখতে পারতো।
১২ হাজার আলেম তার থেকে ইলম শিখতো।
সে পরবর্তিতে ঈমান হারিয়ে ফেলে। দুনিয়ার বুকে প্রথম ব্যক্তি হয় যে লিখে "এই সৃষ্টির কোনো স্রষ্টা নেই"। নাস্তিকতার বানী।
এই অবস্থায় তার মৃত্যু।
//
আল্লাহর এক বান্দা।
অনেক মুত্তাকি। অনেক ইবাদত গুজার। ইলম শিক্ষার জন্য উস্তাদের কাছে আসেন। কিন্তু কেন যেন কিছু শিখতে পারেন না। তবুও চেষ্টা। সবাই অবাক।
শেষে অসুস্থ হয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় সে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে সঙ্গীদের দের সংগে থেকে চেষ্টা চালিয়ে যায়। অবস্থা বেশি খারাপ।
আবু বকর বলেন : আমি তার পাশে বসা ছিলাম। সে আকাশের দিকে তাকায়। এর পর বলে
لمثل هذا فليعمل العاملون
"এর জন্যই আমল কারিরা আমল করে" সুরা সফ এর আয়াত যেখানে জান্নাতিদের কথা বলা হয়েছে।
এর পর সে মারা যায়।
//
আব্দুল্লাহ বিন মুবারক।
কিতাবুল জিহাদের লিখক।
মৃত্যুর সময় কাছিয়ে আসে।
আকাশের দিকে তাকান।
হাসেন।
হাসি ছড়িয়ে পড়ে।
বলেন :
لمثل هذا فليعمل العاملون
"এর জন্যই আমল কারিরা আমল করে"।
মারা যান।
//
আবু সাইদ খারাজ বলেন :
আমার অবস্থা এমন ছিলো আল্লাহর সাথে যে উনি আমাকে তিন দিনে একবার খাওয়াতেন।
একবার এক মালভূমিতে ঢুকলাম। তিন দিনেও খাওয়া পেলাম না। চতুর্থ দিন দুর্বল হয়ে বসে পড়লাম।
কেউ বললো : কোনটা চাও? মাল? নাকি শক্তি?
বললাম : না, কেবল শক্তি।
দাড়িয়ে গেলাম। গায়ে শক্তি চলে আসলো। এভাবে ১২ দিন কাটালাম কোনো কষ্ট ছাড়াই।
//
ইব্রাহিম তাইমি। "মুসাবআতুল আশরা" ওজিফার বর্ননাকারি।
উনি আ'মাল কে বলেন।
: আমি এক মাস ধরে কিছু খাচ্ছি না।
: এক মাস?
: আসলে দুই মাস। এক মাস আগে একজন একটা আংগুরের খোসা দিয়েছিলো খেতে সেটা খেয়েছি। এর আগের এক মাস না খেয়ে ছিলাম।
: খোসাটা খেয়েছিলেন কেন?
: সে দেয়ার আগে আমাকে কসম খাইয়েছিলো যেন আমি খাই। আর সেটা খেয়ে আমার পেট খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
//
আবু ইয়াজিদ বোস্তামি এক বুজুর্গ। এক কাফন চোর এসে তার কাছে তৌবা করে। তৌবা শেষে চোরকে উনি জিজ্ঞাসা করেন কবরে তুমি কি দেখেছো?
জবাব দেয় : ১০০০ কবর আমি চুরি করেছি। কেবল দুজন পেয়েছি যাদের মুখ কিবলার দিকে তখনো ফিরানো ছিলো। বাকিদের মুখ ছিলো উল্টো দিকে ঘুরানো।
//
ইব্রাহিম খাওয়াস। উনি ইব্রাহিম আদহামের যুগের কিন্তু একটু কড়া ছিলেন।
উনি বলেন আমি মরূভুমিতে দেখি এক ছেলে। উজ্জল চেহারার।
জিজ্ঞাসা করলাম : কোথায় চলেছো?
বললো : মক্কায়।
: খালি হাতে? সওয়ারি ছাড়া?
বললো :
يا ضعيف اليقين ،
الذي يقدر على حفظ السماوات والأرض
يقدر أن يوصلني إلى مكة بلا زاد ولا راحلة .
হে দুর্বল একিনের মানুষ। যিনি আসমান জমিন হিফাজত করছেন উনি আমাকে খালি হাতে সওয়ারি ছাড়া মক্কায় পৌছাতে পারেন।
এর পর তাকে পেছনে ফেলে আমি চলে আসি। মক্কায় প্রবেশ করি। দেখি সে আমার আগে পৌছে তোয়াফ করছে। আর কবিতা পড়ছে :
يا نفس سيحي أبدا… ولا تحبي أحدا
إلا الجليل الصمدا… يا نفس موتي كمدا
হে নফস! তোমার জীবন অনন্তকালের।
কাউকে ভালোবেসোনা না --
সেই জলিল-সামাদকে ছাড়া।
হে নফস! আমার মৃত্যু কষ্টকর।
এর পর ছেলেটা আমাকে দেখে বললো :
يا شيخ أنت بعد على ذلك الضعف من اليقين
হে শায়েখ! এর পরও কি তোমার একিন এখনো দুর্বল?
//
ইব্রাহিম আদহাম বলেন :
আমি লেবাননের পাহাড়ে অনেক আল্লাহ ওয়ালাদের সান্নিধ্য পেয়েছি। তারা আমাকে বলেছে : যখন তুমি দুনিয়াদারদের কাছে ফিরবে তখন তাদের চারটা বিষয়ে নসিহা করবে বিশেষ ভাবে :
যে বেশি খাবে -- সে ইবাদতের স্বাধ পাবে না।
যে বেশি ঘুমাবে -- সে জীবনে বরকত পাবে না।
যে মানুষের সন্তুষ্টি খুজবে -- আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সে অপেক্ষা করবে না।
যে বেশি বাজে কথা আর গিবত করবে - সে দ্বিন ইসলাম নিয়ে দুনিয়া থেকে বেরুতে পারবে না।
//
সহল রাহি: বলেন :
সমস্ত ভালো এই চারটা স্বভাবের মাঝে। এ দিয়েই আবদালরা আবদাল হয়।
খালি পেট
চুপ থাকা
সৃষ্টির কাছে না চাওয়া
রাত জাগা।
//
ইউনুস ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন :
আমি নিজের নফসের দিকে লক্ষ্য করে দেখেছি।
সে বসরাহ শহরের তীব্র রোদ গরমে রোজার কষ্ট সহ্য করতে পারে।
কিন্তু জিহ্বাকে অপ্রয়োজনীয় আর বাজে কথা বলা বন্ধ করাতে পারে না।
//
আমর বিন আবদ কায়িস :
দিনে রাতে মিলে ১০০০ রাকাত নামাজ পড়তেন। এবং নামাজ শেষে নিজের বিছানায় গিয়ে বলতেন : হে নফস, সমস্ত খারাপের উৎস। খোদার কসম! আল্লাহর জন্য তোমাকে আমি চোখের পলকের জন্যও খুশি রাখবো না।
মৃত্যুর সময় উনি সারা দিন কান্না করছিলেন। মানুষ জিজ্ঞাসা করলো : কান্না কেন?
বললেন : আল্লাহ তায়ালার এই কথার জন্য
إنما يتقبل الله من المتقين
আল্লাহ কেবল যার তাকওয়া আছে তার থেকে কবুল করেন।
//
উস্তাদ আবা বাকার বিন ফাউরাক,
চাইলেন মানুষের থেকে পৃথক হয়ে আল্লাহর ইবাদতের জন্য পাহাড়ে চলে যাবেন। একটা পাহাড়ে উঠার পরে শুনেন একটা আওয়াজ বলছে :
হায় আবু বকর!
যখন মানুষের মাঝে তুমি আল্লাহর একটা নিদর্শন হয়ে গেলে,
তখনই তুমি মানুষকে ছেড়ে চলে গেলে?
এটা শুনে উনি ফিরে আসেন। এ কারনে বাকি জীবন মানুষের মাঝে কাটান।
//
উস্তাদ আবু ইসহাক বলছেন :
আমি লেবাননের পাহাড়ে কিছু আবেদকে দেখে বললাম
: হে ঘাস খোররা! রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উম্মতকে বিদায়াত পন্থিদের হাতে ছেড়ে দিয়ে তোমরা এখানে বসে বসে ঘাস খাচ্ছো?
তারা জবাব দিলো : মানুষের সংগে থাকার শক্তি আমাদের নেই। বরং আল্লাহ তায়ালা তোমাকে এই শক্তি দিয়েছে তাই দায়িত্ব তোমার।
এর পর উনি ফিরে আসেন। এবং একটা বই লিখেন "জামে লিল খলি ওয়াল খফি" -- "দ্বিনের সমস্ত স্পষ্ট আর গোপন বিষয় এবং ধর্মত্যগিদের জবাব।"
বইটার লিংক
https://al-maktaba.org/book/2118/4098
//
আবি আবিদাহ বলেন :
আমি যতজন বিজ্ঞ লোককে দেখেছি প্রত্যেকেই তার কথার শেষে বলেছেন : যদি তুমি বিখ্যাত না হতে চাও, তবে আল্লাহর স্মরনের মাঝে তুমি আছো।
এটা শেষ পোষ্ট ইনশাল্লাহ এই বই থেকে।
//
ঈসা আঃ এর সময়। উনি পথে যেতে দেখেন এক বৃদ্ধ মাটি খুড়ছে। কিছু একটা চাষ করবেন, বা কিছু বানাবেন।
উনি দোয়া করেন : হে আল্লাহ! এই বৃদ্ধ! তার শেষ বয়সে? তার আশাকে কমিয়ে দিন।
বৃদ্ধ কোদাল রেখে দেয়। পাশে মাটিতে শুয়ে পড়ে।
এরকম দেখে কিছুক্ষন পরে উনি দোয়া করেন : হে আল্লাহ! তার আশা আবার ফিরিয়ে দিন।
কিছুক্ষন পরে সে উঠে দাড়ায়। আবার কাজে লাগে।
ঈসা আঃ বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করেন : তোমার কি হয়েছিলো?
জবাব দেয় : হটাৎ মনে হয়, মরেই যাবো! এত কাজ করে লাভ কি? বসে পড়ি। এর পর মনে হয় যতদিন বেচে আছি, খেতে তো হবে? তাই কাজ করি।
// ডিপ্রেশন।
//
আবু মুসা আশআরি রাঃ
শেষ বয়সে ইবাদত অনেক বাড়িয়ে দেন। মানুষ বলে
: এই বয়সে এত কষ্ট না করলে না?
বলেন
: ঘোড় দৌড়ের সময় শেষ দাগের কাছে আসলে সব ঘোড়া আরো দ্রুত ছুটতে থাকে দাগ পার হতে।
//
এক আল্লাহর বান্দা। একজন তাকে ধরে বলে,
: গোপন কথা আছে।
: বলুন।
: আমি মালাকুল মউত।
: মারহাবা! অপেক্ষায় ছিলাম, বহু দিনের ধরে। খুশির খবর আনলেন।
: কোনো কাজ বাকি আছে?
: আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের থেকে জরুরী কোনো কাজ নেই।
: আপনি যেভাবে চান, শুয়ে বা বসে।
: তবে একটু অপেক্ষা। অজু করে নেই। দুই রাকাত নামাজের সময়।
সে অবস্থায় তার জান কবজ করা হয়।
//
[ কেউ ভুল বুঝেছে? নিজেকে ডিফেন্ড না করা। কথা বেশি না বলা। আল্লাহর জন্য চুপ থাকা। ]
এক লোক মক্কার মসজিদে ঘুমিয়ে ছিলো। উঠে দেখে তার টাকার ব্যগ নেই। পেরশান। পাশে একজনকে চোর বলে।
: টাকা ফিরত দে!
সে ছিলো বুজুর্গ। বলে
: আমার সাথে বাসায় চলো।
বাসায় গিয়ে জিজ্ঞাসা করে
: তোমার ব্যগে কত টাকা ছিলো?
বলে "এত"। গুনে বাসা থেকে তাকে তত দিয়ে দেয়।
সে সেটা নিয়ে বাইরে এসে শুনে তার বন্ধু দুষ্টামি করে তার ব্যগ লুকিয়ে রেখেছিলো। পাওয়া গিয়েছে।
মাফ চেয়ে সে টাকা ফিরত দেয়। বুজুর্গ বলে আমি দান হিসাবে দিয়েছিলাম। দানের টাকা ফিরত নেই না।
পেরশান। কি করবে? শেষে ঐ টাকা সে দান করে দেয়।
#habiball