Post# 1604083456

31-Oct-2020 12:44 am


(collected) informative.

প্রথমত: আপনাকে জানতে হবে। ইউরোপ এশিয়া বা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের কথায় বলেন। পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠাণগুলো দয়াপরবশ হয়ে আমাদের দেশে পোশাকের অর্ডার দেয়, এমন না। এত কমদামে রক্তচোষা পৃথিবীর অন্যকোন দেশে সম্ভব না বলেই তারা আমাদের থেকে পোশাক কিনে।
.
দ্বিতীয়ত: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে কী ধরণের পোশাকগুলোর অর্ডার আসে সেটার উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন চট্টগ্রামের সবথেকে সস্তা পোশাক বিক্রি হয় হকার্স মার্কেটে। এখান থেকে ধনী, গরীব সবাই পোশাক কিনে। এই পোশাকগুলো সাধারণত নিত্য ব্যবহারের জন্য।
.
ইউরোপের নিত্য ব্যবহার্য পোশাকগুলোই সাধারণত আমাদের দেশে অর্ডার করা হয়। মিডরেঞ্জের পোশাক অর্ডার হয় ভিয়েতনাম ও চীনে। এবং হাই রেঞ্জের পোশাকগুলো ইউরোপেই তৈরি হয়। আপনারা অনেকে একটা তথ্য জানেন। সেটা হলো। পৃথিবীতে পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়।
.
হ্যাঁ, আসলে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। কিন্তু টাকার হিসেবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানীকারী অঞ্চল হল: ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে উতপাদিত কম মূল্যের পোশাকগুলো ইউরোপ চাইলেও নিজের অঞ্চলে বানাতে পারবেনা। কারণ এত কম মূল্যের পোশাক বানানোর মত কম মজুরির শ্রমিক ওই অঞ্চলে নেই।
.
তৃতীয়ত: বাংলাদেশ থেকে অর্ডার ক্যান্সেল করলে বিকল্প কোন দেশ? ভিয়েতনাম? ইতোমধ্যে ভিয়েতনামের মজুরি বাংলাদেশ থেকে বেশি। ভিয়েতনামে শ্রমিক সংগঠণগুলো খুব শক্তিশালী। আট ঘন্টার বাইরে এক মিনিট কাজ করলে তার মজুরি বুঝে নেয়। অতএব বিকল্প হিসেবে ভিয়েতনাম বাদ।
.
পশ্চিমারা অনেকদিন ধরে আফ্রিকাকে পোশাক শিল্পের বিকল্প অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে। ইথিওপিয়া, সেনেগাল তাদের প্রধান টার্গেট। কিন্তু আফ্রিকানদের শারিরীক গড়ন ও মানসিকতা পুরোপুরিই এই শিল্পের বিপরীত।
.
পোশাকের স্টিচিং-এর জন্য এশিয়ান মানুষগুলোর হাতের গড়ণ সবথেকে উপযোগী। আঙুলগুলো সুঁচালো হওয়ায় এশিয়ানরা স্টিচিং এ দক্ষ। অন্যদিকে আফ্রিকানদের হাতের আঙ্গুল অনেক লম্বা , তাছাড়া হাতের আঙুলের মাথা মোটা , যেকারণে তারা স্টিচিং এর সময় ব্যালেন্স রাখতে পারেনা।
.
এছাড়াও আফ্রিকানরা মানসিকভাবে অস্থির জাতি। মন চাইলে কিছুদিন কাজ করবে, মন চাইলে কাজ ছেড়ে দিবে। সামান্য ইস্যুতে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয় বলে এই শিল্পে তাদেরকে তৈরি করে তোলায় বিশাল একটা সময়ের ব্যপার।
.
পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই এশিয়ার। তার মাঝে একমাত্র চীন ,ভীয়েতনাম ছাড়া আদতে বাংলাদেশের সাথে টেক্কা দেয়ার কেউ নেই। পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত সামর্থ্য থাকলেও তাদের দেশের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ, নারীর কাজের ক্ষেত্র খুব সংকুচিত হওয়ায় তারাও আপাতত টেক্কা দেয়ার পজিশনে নেই।
.
বাকী আছে ভারত, কম্বোডিয়া, মায়ানমার। ভারতের মজুরি বেশি, ভারতের শতকোটি জনসংখ্যা থাকলেও বাংলাদেশের মত এক জায়গায় হাজার হাজার নারী শ্রমিককে একত্রিত করে রাখার মত পরিবেশ, ফ্যাসিলিটিজ নেই (কেন নেই সেটার ব্যাখ্যা অন্য কোনো দিন দিব)।
.
কম্বোডিয়ার পোশাকের মান খুবই নিন্ম। যেটার চল্লিশ বছর ধরে গড়ে উঠা বাংলাদেশের পোশাকের মানের পর্যায়ে পৌছাতে অনেক সময় লাগবে।মায়ানমারে এই শিল্প খুব বেশিদিন টিকবেনা। পোশাকের মান , নারী শ্রমিকের দুষ্প্রাপ্যতা তার প্রধান কারণ।
.
এবার আবারো ফ্রান্স প্রসঙ্গে আসি। ফ্রান্স যদি বাংলাদেশে পোশাক অর্ডার বন্ধও করে দেয় তাতে এমন কিছু আসবে যাবেনা। তখন অর্ডারগুলো অন্যদেশ ঘুরে আসবে। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোন ব্যবসায়িক লেনদেন নেই।
.
কিন্তু ইসরাইলের প্রায় সকল বড় পোশাকের ব্র‍্যান্ডগুলো বাংলাদেশে পোশাকের অর্ডার দেয়। যেগুলো বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামের আন্টওয়ার্ফ বন্দর হয়ে ইসরেলের হাইফাতে পৌছায়। অতএব আপাতত ফ্রান্স পোশাকের অর্ডার বন্ধের জুজুর ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকুন।
.
Taifur Rahman Taif

    Comments:
  • পানি টকবগ করে ব্যটারি অভার চার্জ [অতিরিক্ত চার্জ] হতে থাকলে। অভার চার্জ করলে ব্যটারির লাইফ কমে যাবে। এটা ঠিক মতো চার্জ দিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

31-Oct-2020 12:44 am

Published
31-Oct-2020