কোরআন না পড়া :
কেউ বললো, "আমরা মুসলমানরা কোনো দিন কোরআন পড়ে বুঝার চেষ্টা করি নি। তাই আল্লাহ তায়ালা কি বলেছেন জানি না। তাই আল্লাহর অধিকাংশ হুকুম মানি না।"
সাধারনতঃ ইয়ংদের এই কথাগুলো বলা হয়।
শুনে বিচলিত হবার কারন নেই এটা ধারনা করে যে কোরআনের কোনো হুকুম আপনি মিস করেছেন। জানেন না বলে মানছেন না।
নিজে পড়ে দেখেন কোরআন শরিফের ৫০% হলো আগেকার দিনের নবী রাসুলদের কাহিনি। এর পর ধরেন বাকি অর্ধেকের ৫০% হলো আখিরাত জান্নাত জাহান্নামের বর্ননা। হুকুমের আয়াত হাতে গুনা এবং সবগুলো কোরআন শরিফ না পড়লেও আপনি জানেন এবং মানেন।
তবে সে ঐ কথাগুলো বলছিলো কেন? সে কোনো একটা আয়াত বা একটা শব্দের অর্থ মূলধারার বিশ্বাসের বাইরে কোনো ব্যখ্যায় বিশ্বাস করে। সেই ব্যাখ্যা আপনাকে বুঝাতে এবং আপনাকে দিয়ে গ্রহন করাতে চায়। তাই তার এই প্রসংগ অবতারনা।
এবং আপনাকে তার ব্যাখ্যা গ্রহনের প্রথম ধাপ হলো আপনার কনফিডন্সকে ভেঙ্গে দেয়া।
: আপনি কোরআন পড়েছেন?
: না।
: তবে কিছুই জানেন না। শুনেন আমি বলছি আল্লাহ তায়ালা কি বলেছেন। আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজে কোরআন শরিফ খুলে দেখবেন ঐ আয়াত।
আপনি হয়তো কখনোই ঐ আয়াত খুজে দেখবেন না।
দেখলেও ঐ জিনিস বুঝবেন না। কিন্তু ধারনা করবেন "সে কি আর ভুল বলেছিলো? হয়তো আমার এই অনুবাদে সেই কথাগুলো নেই। কিন্তু সে ঠিকই জানে কোন তফসির পড়তে হবে।"
আপনি তার সার্কেলে ঢুকে গেলেন।
ইয়ংদের জন্য সাবধানতা।
- Comments:
- যায়।
- এখানে একটা ওয়েভের ভেতর দিয়ে মানুষ যায়।
- সুরা জু্ম্মায় বলা আছে ইদা নুদিয়া লিস সালাতি ... আমি আযান দিলে দেরিতে যাই। ভুল। তাই ১২টার আগে যায়।
- এর পর সে জানে এর আজান হলো প্রথম আযান যেটা উথমান রাঃ এর যুগে চালু হয়েছিলো। তবে কোরআনে কোন আযানের কথা বলা আছে?
- জানলো এটা দ্বিতিয় আজান। কিন্তু আমি তো সবসময় খুতবার আগেই চলে যাই। তাই ঠিক আছে। যদিও ১টায় যায়। এট লিষ্ট হারাম হচ্ছে না।
- এর পর সে ফিকাহ পড়লো যে জুম্মার দ্বিতিয় আজান দিলে দোকান বন্ধ করে আসতে হবে। এর পর কাজ করা হারাম।
- এর পর তাকওয়ার উপর উঠলো। ১২টাতেই আসে যেই ডাকুক।
- এর পর সোয়াবের আশায় সকালেই চলে আসে।
অনেক স্টেইজ। - সিম্পল এই একটা আযাতের অনেক ইশু আছে -- এটা যদি বুঝেন তবে হলো। কোনটা ঠিক সেটা আলোচনা উদ্দেশ্য না। কিন্তু হাজারো জিনিস একেকটা আয়াতের পেছনে গিয়ে এই অবস্থায় আমরা এসেছি -- এটা বুঝলেই হলো।