ডিপ্রেশন চারদিকে? একটা গল্প বলি।
আগের যুগের কাহিনি। মুসলিমদের শহরে ডিপ্রেশন চলছে। শায়েখের কাছে ছাত্র বলে "হুজুর কারন কি?"
শায়েখ বলেন ঐ বাজারে একজন আবদাল আছে তার কাছে গিয়ে দেখে আসো। তার বর্ননা দিয়ে দিলেন।
গিয়ে দেখে সেই আবদাল ৫ পয়সা দিয়ে তরমুজ বিক্রি করছে চুপচাপ। যেন তার কোনো উৎসাহ নেই। ছাত্র একটা তরমুজ নিয়ে কিছু খেয়ে বলে "এহ! এটা পচা"। ফেলে দিয়ে পয়সা না দিয়ে চলে যায়। বিক্রেতা চুপ চাপ। কিছু বলে না।
সে ফিরে এসে উস্তাদকে জানায় এই দেখলাম। শায়েখ বলে "এটা কারন।"
কিছু দিন পরে মন্দা কেটে যায়। চারদিকে ব্যবসা বানিজ্য ছুটা-ছুটি বহু একটিভিটি। শায়েখ বলে এখন গিয়ে দেখো সে কি করছে।
দেখে সে ১ পয়সা দিয়ে ঠান্ডা পানি বিক্রি করছে। দুটো টিনের পাত একসাথে বাড়ি দিয়ে ঝনন শব্দ করে সজোরে জানান দিয়ে।
ছাত্র এক গ্লাস পানি নিলো। কিছু খেয়ে বলে "এহ এতে খড়ের টুকরা ময়লা" বলে ছুড়ে ফেলে দেয়। আবদাল তাকে শক্ত করে ধরে। বলে "ময়লা থাক বা না থাক, পানি খেয়েছেন এখন পয়সা দিয়ে যেতে হবে।"
সে পয়সা দিয়ে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে শায়েখকে বলে।
শায়েখ বলে "এই কারন।"
আশরাফ আলি থানভির বয়ান থেকে ছোট গল্প সংকলনের একটা বইয়ে পড়েছিলাম বহু আগে। এখনো দেশে মন্দা চলতে থাকলে গল্পটার কথা মনে পড়ে।
বিস্তারিত ব্যখ্যা চাইবেন না প্লিজ। আমিও জানি না। সেই বইয়েও নেই, কেবল গল্পটা আছে। আর ব্যখ্যা করা আমার পছন্দ না, কিন্তু গল্প পছন্দ। গল্প থেকে শিক্ষা। ব্যখ্যা যার যার "নিজের বুঝের" কথা।
- Comments:
- ^ এটা গত কয়েকদিনের ছবি কিনা সে হলো পরের প্রশ্ন। মসজিদ খুলা হয়। কিছু দিন পরে আবার বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এরকম চলছে।
প্লাস মসজিদে ঢুকার জন্য শর্ত কি? ভেতরের ফাক করে হাতে গুনা কিছু। বাকিরা যদি রাস্তায়ও না দাড়াতে পারে তবে এটা ভিন্ন রকম হলো।