ইবাদতের পথে :
অনেকগুলো বাধা আছে। সংক্ষেপে সেগুলো উল্লেখ করছি।
১
কেউ এসে আপনাকে বলবে, "ইবাদত বলতে কেবল নামাজ রোজা বুঝায় না, বরং দুনিয়ার ... সব কাজই ইবাদত।"
ব্যসিক্যলি উনি বুঝাতে চাচ্ছেন দুনিয়াদারি করাই আসল ইবাদত। নামাজ রোজা তাই ফরজ পরিমান থেকে বেশি বাড়াবেন না, প্লিজ।
২
বলবে, "নেক সুরতে শয়তান ৭০ হাজার ভাবে ধোকা দেয়, তোমাকেও নেক সুরতে শয়তান ধোকা দিচ্ছে।"
আমাকে নেক সুরতে শয়তান ধোকা দিচ্ছে "ইবাদত করলেই তুমি নেক সুরতে শয়তানের ধোকায় পড়ে যাবে" -- এই ভয় দেখিয়ে। এবং এই ভয় দেখানোর জন্য শয়তান নিজে না এসে ঐ লোককে নিয়ে এসেছে।
ঐ লোকের উপদেশই নেক সুরতে শয়তানের ধোকা আমার জন্য।
আমার সমান্য ইবাদত শয়তানের ধোকা না।
৩
বলবে, "শয়তান মানুষকে বেশি সোয়াবের কাজ থেকে সরিয়ে কম সোয়াবের কাজে লিপ্ত করে রাখে।"
তবে "বেশি সোয়াবের কাজ কি?" আর "আমার সামান্য ইবাদতের কারনে অন্য কোন বেশি সোয়াবের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি?" স্পষ্ট করে কিছু বলবে না। সে বলবে "এগুলো আগে জানো" "আলেমদের থেকে জেনে নিও" এবসট্রাক্ট হাই লেভেলের কথা বার্তা।
সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে আমার কাজটাই বেশি সোয়াবের ছিলো। তার আসলে কোনো স্পষ্ট কথা নেই। এবং তার মূল উদ্যেশ্য ছিলো আমাকে ইবাদত থেকে ফিরানো। আর কিছু না।
তিনটাই লিখাম এখন ... পরে সময় পেলে আরো তিনটা ইনশাল্লাহ।
- Comments:
- https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154896363973176