গাজ্জালির বই পড়ার আগে একটা গাইড :
প্রথম কথা :
এখানে কিছু অন্তরের কথা কিছু কাজের কথা আছে। সবগুলো কাজের অনেকগুলো স্তর আছে। ইয়ংরা অস্থির হয়ে যায়, তারা ধারনা করে প্রথমেই আমাকে শেষ স্তরের আমল ধরতে হবে কারন আমি বেশি চাই, বেশি পারবো। এই এপ্রোচটা ভুল।
বরং :
প্রথম ধাপটা করি। সেটা পারলে দ্বিতিয় ধাপটা। এরকম।
যেমন :
দুনিয়া ছাড়ার কথা বলা আছে। এক্সট্রিমে গেলে সংসার পরিজন ছেড়ে মরূভূমি বা জংগলে। কিন্তু এটা শেষ ধাপ।
দুনিয়া ছাড়ার প্রথম ধাপ হলো :
কারো কাছে কোনো ব্যপারে হাত না পাতা। কেবল এই প্রথম ধাপটা করতে পারলেই জান্নাতের ওয়াদা। রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার সাহাবাদের কয়েকজনকে বলেছিলেন কে আছো আমাকে কথা দেবে কারো কাছে কিছু চাইবে না, আমি তাকে জান্নাতের ওয়াদা দেবো?
ঐ গ্রুপের সাহাবাদের পরবর্তিতে তাবেয়িরা দেখে বলেছিলো তাদের হাত থেকে লাগাম পড়ে গেলেও তারা কাউকে বলতো না তুলে হাতে ধরিয়ে দাও। নিজে ঘোড়া থেকে নেমে তুলে নিতো।
এর পর দ্বিতিয় ধাপ :
আল্লাহ তায়ালা যতটুকু দিয়ে যে অবস্থায় রেখেছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকা। কোনো অভিযোগ নেই। আর চাওয়া নেই। পূর্ন সন্তুষ্ট যা দিয়েছেন তাতেই।
এর পরে :
অন্যকে যে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনেক বেশি দিয়েছেন সেটা নিয়েও আমার অন্তরে বিন্দু মাত্র কোনো খারাপ ধারনা নেই। আল্লাহর বান্দাকে আল্লাহ দিয়েছেন উনি যতটুকু চান।
এক সাহাবির ব্যপারে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন সে জান্নাতি। খবর নিয়ে দেখে সে সারা রাত আমল করে না, কিন্তু তার অন্তর এরকম।
শিক্ষা :
ধাপে ধাপে। যতটুকু আমি বুঝি। যতটুকু আমার জন্য সহজ।
তবে এক্সট্রিমটা কার জন্য? :
অন্য সময়ে, অন্য পরিবেশে, অন্য কারো জন্য যেটা আমি বুঝি না। এবং না বুঝলে এখনই বুঝার দরকার নেই।
জাজাকাল্লাহ।
- Comments:
- ^ এতটুকুতে যে যতটুকু উপকার পায়।