দোয়া চাইতে শরিয়তে নিষেধ নেই। নিচে ভিন্ন লাইনের কথা।
১
মানুষের কাছে কিছু না চাওয়ার এক পর্যায়ে আসে দোয়াও না চাওয়া।
বরং মানুষের জন্য উল্টো দোয়া করা।
যেমন সালাম দিলে সে সালামের জবাব দিলো। আমি তার জন্য দোয়া করলাম, সেও আমার জন্য দোয়া করলো। আমি তার কাছে চাই নি "ভাই আপনি আমার জন্য প্লিজ দোয়া করবেন বড় অশান্তিতে আছি"। সালাম মানে শান্তির দোয়া।
২
বা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর দুরুদ পড়লাম ১ বার। আল্লাহ তায়ালা এর ১০ গুন আমার উপর পাঠাবেন। আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জন্য দোয়া করেছি, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছেন।
৩
অথবা সমস্ত মু'মিন মুসলিমদের ক্ষমার জন্য দোয়া করা। যে করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে মু'মিন মুসলিমদের সংখ্যক পরিমান সোয়াব দেবেন। এই যুগে ১ বিলিয়ন মুসলিম আছে। আর দোয়া করার সময় উল্লেখ করা "যারা বেচে আছে তাদের ক্ষমা করেন, যারা মারা গিয়েছে তাদেরও"। তবে সব যুগের মুসলিমদের জন্য দোয়া করলাম।
৪
অথবা কোনো মু'মিন ভাইয়ের জন্য দোয়া করলাম। হে আল্লাহ অমুককে শান্তিতে রাখেন, তার কষ্টকে দূর করে দেন, তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দিন। কেউ তার মু'মিন ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা একজন ফিরিস্তা নিযুক্ত করে দেন যে কিনা হুবহু ঐ কথাগুলো দিয়ে দোয়াকারির জন্য পাল্টা দোয়া করে। মানে ঐ ফিরিস্তা পাল্টা আমার জন্য একই কথা দিয়ে দোয়া করবে কারন আমি আরেকজনের জন্য দোয়া করছি। দোয়া পেলাম, না চেয়ে, বরং করে।
৫
তাই দোয়ার জন্য হাত পাততে হয় না আরেক জনের কাছে। বরং নিজে করতে হয় অন্যের জন্য। তবে আল্লাহ তায়ালা আমাকে এর উত্তম বিনিময় দিয়ে দেবেন এই দোয়া দিয়ে।
আর দোয়া চাওয়া মানে "আমি আসলে যেন তার কাছে কিছুই চাইলাম না, কোনো বিনিময় চাইলাম না, কেবল শুভাকাঙ্খা ছাড়া। সে জন্য আমি উত্তম" -- এই ধারনা ভুল। দোয়া চাওয়া মানে অনেক কিছু চাওয়া। চাইতে দোষ নেই। কিন্তু আমি কি চাইছি এটা বুঝলে হলো।
এর উপর আগের লিখা :
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154148797668176