#তবলিগ
আমির vs শুরার ইতিহাস। এখন আমির পন্থিদের বিভিন্ন ব্যখ্যা শুনা যায় "ঐ সময়ে কেন করা হয় নি?" এর উপর। এগুলো কোনোটাই আমি যা জেনেছিলাম দেখেছিলাম শুনেছিলাম সে সময় তার সাথে মিলে না।
নিচেরটা মিলে। তখন যা আমাদের বলা হয়েছিলো তাই।
(collected)
শুরা পদ্ধতিতে আমির নেই বিষয় টা এমন নয়।
তবলীগের প্রতিটি আমলেই আমির আছে।
যেমন, পারামর্শের শুরুতে একজন ফায়সাল বানিয়ে দেয়া হয়, উনিই অই পরামর্শ আমলের আমির।
পরামর্শ শেষ, তার আমিরত্ব শেষ।
এমনই ভাবে ৩ দিনের জামাতের আমীর নিযুক্ত করা হয়।
৩ দিনের জামাত শেষ, আমিরের ইমারত শেষ।
একই পদ্ধতিতে চিল্লা, ৩ চিল্লার জামাত, হালকার পরামর্শ, জেলা পরামর্শ, জোড় ইত্যাদি সব আমলে আমির জরুর আছে।
কোথাও তাতক্ষনিক আমির যাকে ফায়সালও বলা যায়, কোথাও প্রতি সপ্তাহের জন্য বা ১৫ দিনের জন্য আমির বা ফায়সাল যেমন জেলা গুলো তে আছে, মুলকের জন্যও আছে।
পুরাতন সাথী মাত্রই জানার কথা এক সময় বাংলাদেশের আমির ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক (রহঃ), উনার পরে কাউকে বাংলাদেশের আমির বানানো হয়নি।
এমনই ভাবে প্রতি জেলার আমির, থানার আমির, ইউনিয়নের আমির ছিল।
কিন্তু ৩য় হযরত জির ইন্তেকালের পর থেকে নতুন করে কোথাও আর আমির নিযুক্ত করা হয় নি, এই পদ্ধতিই পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে।
পদ্ধতি কেন পরিবর্তন করা হলো?
আমাদের আকাবিরগন ছিলেন আমাদের রুহানি ডাক্তার। উম্মতের রুহানি রোগগুলোর ব্যাপারে উম্মত বেখবর থাকলেও তাঁরা বেখবর ছিলেন না।
"হুব্বে জা" বা সম্মানের লিপ্সা উম্মতের একটা বড় রুহানি রোগ।
অনেক সুরতে তা আসতে পারে, আমিরত্বের সুরতেও আসতে পারে।
আমিরত্ব দাবী নিয়ে সাথী দের মধ্যে পরষ্পর রেষারেষি, মসজিদ ভাগ হওয়া, গ্রুপিং এর ঘটনা বর্তমান হালত আসার অনেক আগেও ঘটেছে।
কারণ তবলীগের বয়স যত বেড়েছে, একদিকে যেমন মামুরদের আমিরকে মানার এস্তেদাত কমে গেছে, আমির সাহেবদেরও সাথী দেরকে নিয়ে চলার যোগ্যতা কমে গেছে।
কাজের খুলুসিয়াত, কুরবানী, ব্যক্তিগত আমল, তায়াল্লুক মাআল্লাহ সব লাইনে আমির মামুর সবার অবস্থাই ক্রমাবনতিশীল হয়েছে।
তাবলীগের আমির মানে যে আসলে "খাদেম" এই ধারণা পরিবর্তিত হয়ে আমির হয়ে গেছে "মাখদুম", আমির হয়ে গেছে মাতব্বর।
(কথাগুলো সব ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রযোজ্য নয়)
ভার্সিটিতে অনেক নতুন ছাত্রের নেতা চাওয়ার শুরুর অন্যতম কারণ শুনেছি নেতা হলে নাকি এভাবে জুনিয়র দের সালাম পাওয়া যায়, " বড় ভাই, স্লামালিকুম"।
ভালোই তো লাগে।
তাহলে তো নেতা হওয়ার দরকার।
এমনই ভাবে তবলীগের আমির হতে পারলে সালাম, হাদিয়া, কোন অঞ্চলের অঘোষিত অলিখিত কর্তৃত্ব যেমন আমি এই ইউনিয়নের আমির, আমি এই থানার আমির ইত্যাদি পাওয়া যাবে।
এজন্য আমির হওয়া যেন একটা লোভনীয় বিষয় হয়ে যাচ্ছিল অনেক সাথীর কাছে।
বিষয় টা বড়দের নজরে ছিল।
৩য় হযরত জি ইচ্ছা করলে উনার ছেলে জুবায়রুল হাসান (রহঃ) কে ৪র্থ আমির বানিয়ে যেতে পারতেন।
সেক্ষেত্রে যে ফিতনা এখন শুরু হয়েছে সেটা শুরু হত ১৯৯৫ সালে।
উনার ফেরাছাত ছিল, সেকারণেই একক আমির না বানিয়ে বা একক আমির বানানোর প্রস্তাব না রেখে ১০ জনের শুরা বানিয়ে গিয়েছিলেন।
এতে কি কোন সমস্যা হয়েছে ?
২০ বছর ধরে কাম কি চলেনি ?
যারা আজকে বিরধিতা করছে তারা কি এ-ও পদ্ধতিতে কাম করেনি ?
এ পদ্ধতি মাওলানা এনামুল হাসান (রহঃ) এর ইন্তেকালের পর থেকেই চলে আসছিল সুন্দরভাবে পুরো দুনিয়াতেই।
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যেমন শুরা দেশ, জেলা, থানা, ইউনিয়ন সব জায়গায় শুরা।
মহল্লায় তাতক্ষনিক ফায়সাল।
যখনই মাসোয়ারা প্রয়োজন তক্ষুনি তাতক্ষনিক ফায়সাল।
"আমির" যে একটা লোভনীয় কিছু তার অপশন টাই রাখা হয়নি যেখানে নফস আর শয়তান ধোঁকা দিতে পারে।
কিন্তু শয়তান কি আমাদের সুখে কাম করতে দিবে ?
কথায় আছে না "সুখে থাকতে ভুতে কিলায়"।
ভুতের কিলানিতে বড় বড় সাথী এখন চিল্লাচ্ছে, "শুরা পদ্ধতি সুন্নত না, আমির পদ্ধতিই সুন্নত"।
শয়তান ১০০% সফল এই ফিতনা লাগানোতে।
- Comments:
- ^ 86