স্কুল :
১
"স্কুল" সিসটেমে কে পড়ালো সেটা আসল না। প্রোসেসটা আসল।
"উস্তাদ" সিসটেমে কে পড়ালো সেটা আসল। কোথায় পড়ালো সেটা না।
মানুষের আদত বা ভালোর খোজ তাকে উস্তাদ সিসটেমের দিকে নিয়ে যায়।
মাদ্রাসাতে এটা পুরোনো। এমন কি ইংলিশ মিডিয়ামে ছাত্ররা স্কুল ছেড়ে শেষে পছন্দের স্যারের কাছে কোচিং পড়ে, স্কুল ক্লাস সব বাদ দিয়ে।
২
আমাদের ৬ ঘন্টা স্কুল অনেক লম্বা ছাত্রদের জন্য। হাজার বছর আগের এক বুজুর্গের জীবনি পড়ছিলাম। সে তার পিতাকে বললো ৩-৪ ঘন্টা উস্তাদের কাছে পড়া আমাকে বাকিয়ে দিচ্ছে। আমি কেবল ১ ঘন্টা পড়বো। পিতা রাজি। সেই এক ঘন্টা করে পড়ে, পরে বিভিন্ন পির বুজুর্গদের সংগে থেকে নিজেই বিখ্যাত বুজুর্গ হয়ে যান, যাদের নাম আমরা এখন শুনি।
৩
সব ছাত্রদের মাসটার্স পাশ করার দরকার নেই। যার পড়া লিখায় আগ্রহ আছে সে হবে। এরকম ধরেন ১০০ জনে ২-৩ জন। বাকিদের জীবনে চলার মতো জ্ঞান। প্রয়োজনীয় শিক্ষা।
আমাদের এখন মাষ্টার্স এত বেশি যে চাকরি পাচ্ছে না। অশিক্ষিত, শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিতের বেতন এখন প্রায় সমান। শিক্ষিতদের যদি বেতন বাড়ে বয়সের পরবর্তিতে তবে স্বল্প শিক্ষিতদেরও বাড়ে কিছু বছর পরে যখন সে কাজে দক্ষ হয়ে যায়, তার সামাজিক কনফিডেন্স চলে আসে, সে নিজেই ব্যবসা আরম্ভ করে।
৪
কভিড। মানুষ এখন বাসায় বসে শিখছে। তাদের কেউ স্কুল বাদ দিয়ে পছন্দের উস্তাদের কাছে কেবল শিখছে। মাদ্রাসাগুলো ঈদের আগে অনেক হই চই করে বলেছিলো কালকে ৮ তারিখ থেকে খুলবে। এখন তারা বলছে, না, খুলবে না। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ। কখন খুলবে ঠিক নেই। এই বছর আর খুলবে না।
৫
আমরা পুরানো সিসটেমের দিকে নজর দিতে পারি। যেভাবে পৃথিবী বহু কাল চলে আসছিলো।
অপ্রয়োজনিয় জিনিস সবার গৎ বেধে শেখার দরকার নেই।
যার যার জীবনের প্রয়োজনিয়টা কেবল শিখি।
- Comments:
- সরকারি চাকরির ব্যপারে এখানে কিছু লিখি নি। যে সব চাকরিতে জনগনের থেকে ট্যক্স "নিয়ে" বেতন দেয়। কেবল ট্যক্স "দেয়া" পাবলিকদের জন্য ভাবনা।