প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯২০ এর দিকে একটা হজ্জ সফরের কাহিনি।
বাংলা থেকে ট্রেনে করে বোম্বে বা করাচি। সেখান থেকে জাহাজ। সব জাহাজ ইয়েমেনের এডেন বন্দরে একবার থামে এর পর জেদ্দা।
ইয়ালামলাম থেকে জাহাজেই এহরাম। জেদ্দায় নেমে এর পর হয় মদিনা বা মক্কার পথে।
কোনো গাড়ি নেই এই রাস্তায়। উটের পিঠে একটা ব্যগ ঝুলায়। তার দুই দিকে দুটো পকেট। দুই পকেটে দুই জন তাদের সব মাল নিয়ে।
জোহরের পরে সফর আরম্ভ, ফজরের আগে কোনো মঞ্জিলে পৌছতো। কোথাও সিকিউরিটি পুলিশ নেই। লুটেরা চারিদিকে। প্রতি রাতে তাদের টাকা দিয়ে বিদায় করতে হতো। কখনো গুলাগুলো করে।
এভাবে ১ মাস চলে মদিনাতে রওজা শরিফে।
এর পর আরো ১ মাস চলে মক্কা শরিফে হজ্জের জন্য।
গরমে পিপাসায় কষ্টে মনে হতো মারাই যাবে।
এখানে মক্কাবাসিদের বলছেন কঠোর রুক্ষ দুর্বল শরিরের।
মদিনা বাসিদের পেয়েছেন সাহায্যকারি অতিথিপরায়ন মজবুত গড়নের।
মক্কার লোকেরা খুব কমই হজ্জ করতো।
মদিনা বাসিগন সবাই নিয়মিত হজ্জ করেন।
অশিক্ষিত উটের আরব চালক? তারা মসজিদে নববিতে ঢুকে এমন করে কোরআন তিলোয়াত করে নামাজ পড়ছে যে তাজ্জব।
আরবরা ছিলো ক্ষুধার্ত। কিছুই নেই।
মক্কার সাইডে হাজিদের থেকে ভিক্ষা করতো।
মদিনার সাইডে করতো না, কিন্তু তাদের কিছু দিলে খুশি হতো।
হাজিদের তারা ধারনা করতো বড়লোক। তাই হজ্জ করতে এসেছে।
খেতে বসলে বাংগালিরা ভিক্ষুকদের তাড়িয়ে দিতো।
আরবরা সেই লুটেরাদের ডেকে তাদেরকে দস্তরখানায় বসিয়ে খাওয়াতো।
পুরো আর্টিক্যলের লিংক :
https://www.facebook.com/notes/kai-kaus/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C-/1017991245325384/
- Comments:
- https://www.facebook.com/notes/kai-kaus/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C-/1017991245325384/