প্রসংগ : "গোস্ত তিন ভাগ করে"
বুঝতে হবে কোরবানীর তিন ভাগের একভাগ দান করা ঐচ্ছিক। ওয়াজিব না। এটাকে ওয়াজিব করে নিলে :
১। যে দেয় না তার সম্পর্কে খারাপ ধারনা করা হবে। যে তার কোরবানী হয় নি। তার গুনাহ হয়েছে। সে লোভি।
২। "হক কায়েমের" জন্য এর পর তার থেকে জোর পূর্বক তিন ভাগের এক ভাগ আদায় করা হবে, যেটা এখন গ্রাম দেশে প্রচলিত। আমাদের গ্রামে কমপক্ষে। তার পছন্দ হোক বা না হোক তাকে দিতে হবে। আর সহস্র "হক" কায়েমের মতো এখানেও হকের নামে জুলুম কায়েম হলো। কোনো মুসলিমদের মাল তার অনিচ্ছায় তার থেকে নেয়া জুলুম।
মুফতি তাহমিদ মাওলার কথা এই সিসটেমের উপর :
https://www.youtube.com/watch?v=USJWxpoX4Co
তাই নিজে দেই। ইনফেরাদি দেই, নিজেরটা নিজে। আর সামাজিক ভাবে সেনট্রালি যদি গোস্তের তিন ভাগ আদায় হয় তবে কিছু দেবো না। না দেয়াটা আমার পাপ না বরং আমার সোয়াব, নিজের মাল নিজে রক্ষা করলাম।
তাহমিদ মাওলার সাথে আমার একটু দ্বিমত আছে শেষে। উনি বললেন এভাবে করতে চাইলে ঐচ্ছিক ভাবে করবে। এর পর সেই গোস্ত বড় লোকের মাঝে বিতরন করবে না কেবল গরিবদের মাঝে।
কিন্তু প্রথম দিকে এরকমই ছিলো, সব জায়গায় এই ভাবেই চালু হয়।
পরে ক্ষমতা পেলে সবাই যা করে এখানেও তাই হয়।
- ঐচ্ছিক কিছু বছর পরে হয় যায় বাধ্যতামূলক।
সমাধান :
আমল ইনফেরাদি বা একা একা করার দিকে জোর দেন। জামাতের সাথে আমল কেবল দুটো। নামাজ আর জিহাদ। বাকি সব একা একা। বিদায়াত, জুলুম সব সমাজ থেকে চলে যাবে ইনশাল্লাহ।
#কোরবানি