ব্যংকের বিভিন্ন স্কেমের মাঝে একটা হলো ক্রেডিট কার্ড।
নিবেন না। এর ইয়ারলি একটা চার্জ আছে ১০০০ টাকা কমপক্ষে।
আর কিছু কিনলেও মাসের শেষে ব্যংকে আবার দৌড়ে এর টাকা পরিশোধ করতে হবে। বিল জমা দেয়ার মতো। সময় মতো না দিলে এর উপর সুদ বিশাল পার্সেন্টে।
তাই দুই বার দৌড়ানি। একবার জিনিস কিনার জন্য। দ্বিতীয়বার এর দাম দেয়ার জন্য। অথচ কিনার সময় এমন ধুম ধারাক্কা করে কার্ড টেনেছে যেন দাম পরিশোধ করেছে। কিন্তু আসলে করে নি।
আর কার্ডে ট্রানজেকশনের জন্য সব ব্যংক থেকেই ডেবিট কার্ড দেয়। এতে এই ঝামেলা গুলো নেই। পে করলেন তো আসলেই পে করলেন। শেষ। ডেবিট কার্ডে বৎসরে ১০০০ টাকা চার্জও নেই।
তাই ক্রেডিট কার্ড নিতে হয় না।
যদি তারা বলে :
"ফ্রিতে দিচ্ছি। ইয়ারলি চার্জ নেই।"
তবে, বুঝবেন প্রথম বছরের জন্য নেই। এর পর আছে।
"আপনার কম্পানির সাথে আমাদের এগ্রিমেন্ট হয়েছে সব এম্পলয়িকে এই সুবিধা দেয়ার"
তবে, এটা কোনো সুযোগ না। তারা আমাকে কিছু দান করছে না। বরং নিবে। তাই ফ্রিতে দিলেও না।
"আপনাকে সম্মানিত করা হবে এয়ারপোর্টে"
তবে, ট্রাভেল কালচার এই করোনায় এখন শেষ। এয়ারপোর্টে খুব অল্প সময়ই আপনাকে বসতে হবে এবং সে সময় আম পাবলিকের সাথে থাকা কমফোর্টেবল। মানুষকে জানার এটাই সুযোগ, ট্রেভেল করার সময়। বাসায় অফিসে যার সুযোগ নেই।
"আপনি বাকিতে কিনতে পারছেন"
তবে, ২০ দিনের বাকি কোনো বাকি না। আর পাওনা রেখে লাভ কি? মরতে হবে ক্লিয়ার রাখা ভালো। টাকা নেই তো কিনবো না।
তাই ক্রেডিট কার্ড একটা স্কেম। বেচে থাকি।
মাসলা বললাম না। কেবল ইকনমিক দিকটা কভার করলাম।
- Comments:
- ^ একই।
- আমিও। এ জন্যই এই পোষ্ট :V :V :V