দেখছি আখিরাতের কামাইয়ের ২০% আমল। ৪০% আল্লাহ তায়ালা যে কষ্ট দেবে তার উপর সবর। বাকি ৪০% নিজের অন্তর।
১
যাকে আল্লাহ তায়ালা যত পছন্দ করে তাকে তত কষ্টে রাখেন দুনিয়াতে। যে যতটুকু সহ্য করতে পারবে ততটুকু। কাউকে তার সাধ্যের বেশি না।
কিন্তু এটাই জান্নাতে তাকে অনেক উপরে তুলে দেবে, যেটা ইবাদত করে সে কখনো পৌছতে পারবে না।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর যখন জ্বর হতো তখন সাধারন মানুষের দ্বিগুন জ্বর হতো। কষ্টের জন্য। যা দ্বারা আল্লাহ উনাকে ﷺ আরো সম্মানিত করবেন।
বুখারি শরিফের হাদিস
https://sunnah.com/bukhari/75/21
২
অন্তরের ফয়সালা আল্লাহর সাথে।
যে অন্তরে মুসলিমদের প্রতি যত কম হিংসা, ঘৃনা রাখতে পারে। সাথে যত বেশি তার অন্তর সে আল্লাহ আর উনার রাসুল ﷺ এর প্রতি ঝুকায়। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি যে যত সন্তুষ্ট থাকে। সাথে ইখলাস। আর নিজেকে আল্লাহর সামনে হীন মনে করা।
৩
শেষ ফায়সালা আল্লাহর।
খওফের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে কদরের ভয়। আল্লাহ তায়ালা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। আমার তকদিরে যা লিখা আছে তাই হবে আমি এর কিছু পরিবর্তন করতে পারি না। আবেদ এইগুলো চিন্তা করে কান্না করতে থাকে। কারন কোনো পরিমান আমলই তার মুক্তির জন্য যথেষ্ট না।
শেষে আল্লাহর ইচ্ছা।
৪
আল্লাহ তায়ালা কারো পরওয়া করেন না।
দুনিয়াতে যাকে সবচেয়ে দ্বিনদ্বার হিসাবে মানুষ মানে, তাকে আল্লাহ তায়াল আখিরাতে লাঞ্চিত করে সবার সামনে জাহান্নামে ফেলতে পরেন।
দুনিয়াকে যাকে সবাই চায় "সে জাহান্নামে যাক" তাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে জান্নাত দিতে পারেন।
উনার ইচ্ছা। উনার পছন্দ। উনি যার অন্তরে যা জানেন। যে অন্তর যেভাবে সৃষ্টি করেছেন। যার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
সামনে হয় আমার ধ্বংশ।
বা আমার মুক্তি।
আমি জানি না। আল্লাহ জানেন।
- Comments:
- তবে আমাকে কি করতে হবে? স্টেটাসে কোনো পরিবর্তন?
- অন্ততঃ ১০ দলের নাম আমি নিতে পারবো যারা চুরান্ত সফলতার জন্য ভাবছে কাজ করছে। আপনি তাদেরকে ফলো করে বা বায়াত দিয়ে দেখতে পারেন। আমি ফলো করে দেখেছি। জাজাকাল্লাহ।
- তবে এই স্টেটাসে বা আমাকে ফলো করে এখানে আপনার বেশি কাজ নেই। এটা বলতে পারি।
- সালাম।