#সবর
অনেক বড় লোক। কিন্তু জীবনি পড়ে দেখেন সে ছোটবেলায় গেরেজে কাজ করতো। না খেয়ে ছিলো অনেক দিন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতো।
প্রত্যেকের জীবনে আল্লাহ তায়ালা কষ্ট দেন। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে। সব সময় ধরে না। কত দিন ধরে কাকে কত কষ্টে রাখবেন আল্লাহ তায়ালা সেটা নির্ভর করে আল্লাহ তায়ালা কাকে কতটুকু পছন্দ করেন।
উত্তম হলো কষ্টে বড় হয়ে আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাওয়া। রাসুলুল্লাহ ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "আপনার পরের জীবন প্রথম জীবন থেকে উত্তম" -- এটা স্বান্তনার দেয়া কথার সাথে বলেছেন।
সেই সুরায় আখিরাত দুনিয়া থেকে উত্তম বলেছেন? নাকি জীবনের শেষ কাল আগের কাল থেকে সহজ হবে বলেছেন? তফসিরের বিষয়। দুটো মতই আছে। হয়তো দুটোই।
শেষে বড়লোকের বড়লোকি যেন আমাদের বিভ্রান্ত না করে। সে আমার বয়সে থাকতে অনেক কষ্ট করেছে। আমার জীবন মাত্র আরম্ভ।
ফেসবুকে সুখি মানুষের সুখ যেন আমাকে ঈর্ষাহ্নিত না করে। সেও আমার মতই কষ্টে জীবন পার করেছে এক সময়, বা এখনো হয়তো করছে।
আর আমি সন্তুষ্ট থাকি আল্লাহর ফয়সালার উপর।
আরেকজনকে আল্লাহ তায়ালা আমার থেকে অনেক বেশি নিয়ামত দিয়েছেন সে ফায়সালার উপরও।
আমাকে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু নিয়ামত দিয়েছেন সে ফায়সালার উপরও।
- Comments:
- ^ যার উপর আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত বেশি তার হিসাব বেশি। কারন নেকির বিপরিতে নেয়ামত ওজন করা হবে। শোকর ঠিক মত আদায় করলে ঐ নিয়ামতের হিসাব কম হবে।
কম নিয়ামত যার তার অল্প আমলে আল্লাহ খুশি।
- সুরা তাকাথুর এর তফসির দ্রষ্টব্য।