আরমান ভাইকে মাহদি মনে করে যে ১৭ জন বর্ডারে গিয়ে এর পর ঢাকায় ফিরে এসে ধরা পড়েছেন তাদের কথা মনে পড়ছে এই ঈদে। তাদের পরিবার সংসার বাপ মা সবার কষ্টের কথা।
সার্কেলে পড়ে গেলে তখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। peer pressure বলে একটা কথা আছে। অন্য সংগিরা চাপে রাখে দলে থাকতে, বিশ্বাস রাখতে, চিন্তা না করতে। অল্প অল্প করে অনিচ্ছাতেও এক জন দলের সাথে কত দূর চলে যায় সে নিজেও বুঝতে পারে না।
তাই দলে না জড়াই। এটা এই শেষ যুগে আরো বেশি জরুরি। peer pressure এ পড়ে যাবেন। এমন অনেক কিছু করে ফেলবেন যেটা পরর্তিতে চিন্তা করে দেখবেন "কি মনে করে আমি তখন এগুলো করেছিলাম? বুঝা উচিৎ ছিলো বহু আগেই"
দলে অলরেডি জড়িয়ে গেলে একটা ব্রেক দেই। কিছু দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে বাসায় বসে থাকি। চিন্তা করি। এখন এই সময়ে যে কোনো বিষয়ে ইনএকটিভ থাকা এটিভ থাকার থেকেও বেশি সোয়াবের।
চার হাজার কিলোমিটার হেটে যদি মক্কা যাবার প্লেনই আমার থাকে, তবে আরো ২০০ কিলোমিটার হেটে ঢাকা থেকে বর্ডারে যাওয়া এর সাথে কিছু না। তাই বরং বাসায় বসে থাকি। আরমান ভাইয়ের কথা মতো যদি ধুয়া নামেই তবে বাসা থেকে হেটে রওনা দিলেই হবে। নিশ্চিৎ হলাম। না হলে বেচে গেলাম।
কিন্তু এটা কমন সেন্স। এটা একা থাকলে চিন্তা করতে পারবেন। দলে থাকলে দলের চিন্তাই আপনার চিন্তা। আপনার নিজস্ব কোনো চিন্তা করার তখন সুযোগ পাবেন না।
একা থাকি।