Post# 1590136276

22-May-2020 2:31 pm


অভিযোগ : "দেওবন্দি আলেমরা মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন আকিদার বিষয়গুলো নিয়ে কিছু বলে না। সারা দিন পড়ে থাকে অজুর মাসলা নিয়ে।"

কেন? তার উত্তর নিচে।

(collected)
আল্লামা মুযানী বলেনঃ একবার আমার মনে উদ্ভট কিছু (তাকদীর/আল্লাহকে নিয়ে) প্রশ্নের আনাগোনা শুরু হয়। আমি চিন্তা করতে লাগলাম- যদি এমন কেউ থাকে, যে আমার অন্তরে জেগে উঠা প্রশ্ন দূর করে দিতে পারে! এবং তাওহীদের ব্যাপারে আমার চিন্তাকে পরিশুদ্ধ করতে পারে! তাহলে সেটা কেবল ইমাম শাফিয়ীই আছেন।

আমি তার কাছে গেলাম। তিনি তখন মিসরের একটি মসজিদে অবস্থান করছিলেন। আমি বললামঃ তাওহীদের ব্যাপারে আমার মনে উদ্ভট কিছু সমস্যার উদয় হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, এ বিষয়ে আপনার মত এত সুন্দর করে আর কেউ জানে না। সুতরাং ঐ প্রশ্নের উত্তরটা কী, যা আপনার জানা আছে?

তিনি এতে খুব রাগ হলেন। বললেন,
তুমি জানো এটা কোন শহর?
: জী!
: এটা সেই শহর, যেখানে ফেরাউনকে আল্লাহ ডুবিয়ে মেরেছেন। তোমার কাছে কী এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এসব প্রশ্ন করতে আদেশ দিয়েছেন?
: জী না!
: কোনো সাহাবী কি এ বিষয়ে কখনো আলাপ আলোচনা করেছেন?
: জী না!
: তুমি কী জানো আসমানে কতগুলো তারা?
: জী না!
: তার মধ্যে কোন তারাটা কোন গুণের? কোন পরিচয়ের? তার উদয়স্থল ও কক্ষপথ সম্পর্কে? এবং কী দিয়ে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
: জী না!
: যে সৃষ্টিকে তুমি নিজ চোখে দেখছো, তার সম্পর্কেই তুমি কিছু জানো না, আর তুমি কি না তার স্রষ্টা তথা আল্লাহর ইলম এর ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছো!

এরপর তিনি অজু সম্পর্কিত কিছু মাস'আলা জিজ্ঞেস করলেন। আমি সেখানেও ভুল করি। এ সম্পর্কিত আরো চারটি মাস'আলা জিজ্ঞেস করলেন। আমি সেগুলোরও সদুত্তর দিতে পারিনি। এবার তিনি বললেন, অন্তত দিনে পাঁচবার যেই জিনিসটার প্রতি তুমি মুখাপেক্ষী, সেই ইলম হাছিল না করে তুমি পড়ে আছো আল্লাহর ইলম নিয়ে!

যখনি তোমার মনে এমন কোনো কিছুর উদয় হবে, তখন আল্লাহর দিকে রুজু হবে। এবং আল্লাহর এই কথার দিকেঃ

وَإِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وٰحِدٌ ۖ لَّآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيمُ

"তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন এক আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। তিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু।"

সুতরাং স্রষ্টার ব্যাপারে সৃষ্টির মাধ্যমে নিদর্শন গ্রহণ করবে। এমন ইলমের পিছনে পড়িও না, যে পর্যন্ত বিবেক বুদ্ধি পৌঁছতে পারে না।

মুযানী বলেন, এরপর আমি তাওবা করে এমন প্রশ্ন থেকে ফিরে আসি।

    Comments:
  • যদি আমার উপদেশ চান তবে আমি বলবো ধর্য্য ধরে চুপ থাকেন। ঝড়টা চলে যাবে ইনশাল্লাহ। এর পর আপনি যতটুকু চুপ থাকতে পেরেছেন সে পরিমান সম্মান আল্লাহ তায়ালা আপনার বাড়িয়ে দেবে।

22-May-2020 2:31 pm

Published
22-May-2020