করোনা ও মসজিদ :
১
খুললেও করোনাতে বন্ধের ঠিক আগের সেই ভিড় এখন নেই। বন্ধের ঠিক আগে দুই তলা ভরতো, এখন দুই কাতার। যদি গায়ে গায়ে লাগানো হয়।
তাই ফিলিংস : আবার বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। কেমন যেন একটা তার কেটে গিয়েছে।
মসজিদে ইফতারি নেই। খতম তারাবি নেই। তাই মানুষ ভিড়ছে কম।
২
যতটুকু নিয়ামত আল্লাহ তায়ালা বাকি রাখেন, অতটুকুই নিয়ামত। কোরআন তুলে নেয়া হবে কিন্তু তখনও মসজিদ, জামাত, নামাজ চালু থাকবে। ইমাম দাড়িয়ে কিরাত পড়তে পারবে না। সব ভুলে গিয়েছে।
একজন অন্যজনকে ঠেলবে নামাজ পড়াতে। মসজিদ ভর্তি মানুষ, কিন্তু কেউ নেই নামাজ পড়ানোর মতো।
৩
"ফিলিংস"-টা আসল না। নিয়ামতের যতটুকু আল্লাহ তায়ালা বাকি রেখেছেন। এই তিন ফুট দূরত্ব কমুনিটি ফিলিংকে শেষ করে দেয়। কাতার হচ্ছে না। আলগা আলগা মানুষ নামাজ পড়ছে। একটা টিউন কেটে গিয়েছে।
৪
মসজিদে নামাজ না পড়লে কি হয় এটা জানি। ভিন দেশে গিয়ে কয়েক সপ্তাহ থাকলে বুঝা যায়।
প্রথমে খারাপ লাগে অস্থির লাগে। মাস খানেক পরে সহ্য হয়ে যায়। প্রেকটিশ হয়ে যায়। আমাদেরও প্রেকটিশ হয়ে যাবে। তখন মসজিদে আসার তাড়াটা আর থাকবে না। এখন যেমন হচ্ছে।
৫
জিব্রিল আঃ ১০ জিনিস উঠিয়ে নেবেন। প্রথম যেটা এই উম্মাহ থেকে উঠিয়ে নেবেন সেটা হলো নামাজে খুশু।
যতটুকু বাকি আছে সেটাই ধরি। কিয়ামতের ঠিক আগে দুই-একজন মানুষ মন্ত্রের মতো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়বে কিন্তু এর অর্থ বা আল্লাহর কথা জানবে না। তবুও এটাই তাদের জাহান্নাম থেকে বাচাবে।