আমল :
রাতের নামাজ। যদি ঘুম পায় তবে নামাজ না পড়ে ঘুমানো ভালো।
কিন্তু কতটুকু ঘুম পেলে? কারন ঘুমতো সব সময় পেতে থাকে।
এখানে বুঝার ব্যপার হলো হাদিস শরিফে এই ব্যপারে দুটো কথা এসেছে।
- যদি দাড়ানো থেকে পড়ে যেতে থাকেন তবে ঘুমিয়ে পড়েন। নামাজ না পড়ে।
- যদি এত ঘুম পায় যে তিলওয়াত জড়িয়ে যাচ্ছে, বা কি পড়ছেন নিজেই বুঝছেন না, বা এক সুরার আয়াত থেকে অন্য সুরার আয়াতে চলে যাচ্ছেন তবে ঘুমিয়ে পড়েন। নামাজ না পড়ে। যদিও যত রাকাত পড়বেন মনে করেছিলেন সেটা পড়েন নি।
কোরআন শরিফ পড়ার ব্যপারেও এরকম কথা আছে।
যতক্ষন ভালো লাগে পড়েন। এর পর যখন আর ভালো লাগছে না তখন পড়া বন্ধ করে দেন। ফোর্স করার দরকার নেই এতটুকু পড়তেই হবে।
এখনে আরেকটা ব্যপার হলো দেখছেন আপনার উস্তাদ রাতে লম্বা তাহাজ্জুদ পড়ে আবার সকালেও ঘুমায় না। কিন্তু আপনি এটা করতে পারছেন না। এর কারন আপনার উস্তাদের বুজুর্গি না, বরং বয়স।
বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের ঘুম কমে আসে। আপনার উস্তাদও যখন আপনার বয়সে ছিলো তখন এত নামাজ পড়তে পারতেন না। ঘুমাতে হতো।
তাই ডেসপারেট না হই। অতিরিক্ত নিজেকে না ঠেলি। একটা স্টিডি ফ্লোতে আমল করতে থাকি। আল্লাহ তায়ালা বয়স দিলে দেখবেন ইনশাল্লাহ এতে অনেক দূর যেতে পারবেন যদি লেগে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।