নামাযে মনোযোগ :
ব্যসিক্যলি মনোযোগের ফোকাস থাকবে তিলওয়াতের দিকে।
বাকিগুলো এর পর অপশনালি আসবে।
কোনো অনুভুতি না আসলেও সমস্যা নেই।
মনোযোগ তিলওয়াতের দিকে থাকাটা হলো আসল।
(collected)
হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হজরত থানবী রহঃ ইশরাদ করেন, খুশু বা একাগ্রচিত্ততা হলো নামাজের রূহ বা আত্মা।
বাস্তব অভিজ্ঞতা এ কথার প্রমাণ, একাগ্রচিত্ত হওয়ার প্রচেষ্টায় খুব বেশি লিপ্ত হয়ে পড়লে প্রথমে ক্লান্তি-শ্রান্তি ও পরে বিরক্তির সৃষ্টি হয়ে যায়।
এজন্য এক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা আবশ্যক।
আর তার সীমা হলো নামাযের মধ্যে যে শব্দ মুখে উচ্চারণ করা হয় তা শুধু নিজের মুখস্ত থেকে পড়ে যেতে থাকবে না বরং প্রত্যেকটি শব্দের প্রতি এমনভাবে ধ্যান করবে যেন অপরিপক্ক হাফেয কুরআন শরীফের শব্দগুলো চিন্তা করে মুখে উচ্চারণ করে।
এর মধ্যেও যদি কখনো গাফলতি এসে যায়, তবে সেজন্য অস্থির না হয়ে এবং সামনের চিন্তা পরিত্যাগ করে তৎক্ষণাৎ ঐ বর্ণিত পদ্ধতির উপর পুনরায় আমল শুরু করবে অর্থাৎ যে শব্দ উচ্চারণ করা হচ্ছে তার প্রতি ধ্যান করতে থাকবে।
নামাযের মধ্যে "ইস্তিগরাক" বা একেবারে ডুবে যাওয়ার মত অবস্থাও কাম্য নয় যে, তার আর অন্য কিছু কোনো খবর থাকবে না।
"ইস্তিগরাক" বা একেবারে ডুবে যাওয়া এক জিনিস আর খুশু বা একাগ্রতা হলো ভিন্ন জিনিস।
প্রিয় নবী ﷺ -এর নামাযের মধ্যে কখনো ইস্তিগরাক এর অবস্থা হতো না।
ঐ হাদিস এ কথার পক্ষে প্রমাণ যে হাদীসে প্রিয় নবী ﷺ- এর বর্ণনা ইরশাদ হয়েছে যে, নামাযের জামাআত চলাকালীন সময়ে যদি কোনো ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কানে আসতো তবে প্রিয় নবী হযরত ﷺ নামায সংক্ষেপ করে দিতেন।
কারণ, ঐ বাচ্চার মা তার কান্না কারণে নামাযের মধ্যে অস্থিরতা অনুভব করবে। যদি ইস্তিগরাকের অবস্থাই হতো তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কিভাবে প্রিয় নবী ﷺ এর কানে পৌছতো।
আর প্রকৃত কথাও এই যে,' ইস্তিগরাক' হলো মানুষের ইচ্ছা বহির্ভূত একটি অবস্থা।
আর ইচ্ছা বহির্ভূত কোনো কিছুর দ্বারা তারাক্কী বা উন্নতি হয় না।
বরং তারাক্কী বা উন্নতি ঐ সকল আমলের দ্বারাই হয়ে থাকে, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায় সম্পাদন করে থাকে।
খুশু বা একাগ্রতা একটি ইচ্ছাধীন কাজ আর সেটাই মূলতঃ নামাযের মধ্যে কাম্য।
মাজালিসে হাকিমুল উম্মত
পৃষ্ঠা নং ২১১-২১২