এই মসজিদ বন্ধের ড্রামা থেকে আমি কি বুঝলাম?
১
দেশে সাধারন পাবলিক তাকিয়ে থাকে কওমি আলেমদের দিকে। কওমি আলেমরা সবাই তাকিয়ে থাকেন উনাদের বড়দের দিকে। বড়দের বিপরিত কোনো কথা আলেমরা বলবেন না। মাও হাসান জামিলের বক্তব্য দ্রষ্টব্য। এর পর বড়রা তাকিয়ে থাকেন আহমেদ শফি সাহেবের দিকে। তাই সরকার যদি শফি সাহেবকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে তবে দেশের প্রেকটিশিং মুসলিম প্রায় সবাইকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।
২
অধিকাংশ আলেম কিছু সময়ের জন্য ভুল করতে পারে। কিন্তু সবসময়ের জন্য ভুলের উপর থাকবে না। এখন এই "কিছু সময়" কতটুকু লম্বা হতে পারে সেটা বুঝার বিষয়। যেমন এ ক্ষেত্রে ছিলো প্রায় ২০ দিনের মতো। কারন মসজিদ খুলার ১০ দিন আগে শফি সাহেব চিঠি পাঠিয়েছিলেন খুলে দেয়ার জন্য। মোটামুটি ২০ দিন উনি ছিলেন বন্ধের পক্ষে।
৩
আব্দুল মালেক সাহেব কওমি হলেও এই হাইরারকির কিছু বাইরে। উনি বরং পাকিস্তানের তাকি উথমানি সাহেবকে অনুসরন করেন। তাকি উথমানি সাহেব আর মালেক সাহেব দুজনকেই দেখেছি এই ফিতনার সময় মসজিদ বন্ধের বিরুদ্ধে শক্ত যুক্তি দেখাতে যেটা পরবর্তিতে সত্য হয়েছিলো। মালেক সাহেব বলছিলেন : "ভয়" বুঝতে হবে, ভয় পেলেই মসজিদ বন্ধ করা যাবে না কারন এটা মিথ্যা ভয় হতে পারে।
৪
সালাফি ভাইয়েরা সালাফি আলেমদের অনুসরন করেন। এবং সালাফি আলেমগন সৌদি আলেমদের অনুসরন করেন। আর সৌদি আলেমরা এমবিএসের নির্দেশ অনুসরন করতে এই মুহুর্তে বাধ্য হন। এটা আমার উপলব্ধি। বেশি ব্যখ্যা টানছি না কারন অন্য দল সম্পর্কে আনওয়ান্টেড কমেন্ট করা হবে। তবে এই হাইরারকিটা বুঝলে তাদের ডিসিশন ট্রি আর রিজনিং বুঝতে পারবেন।
৫
সবই হাদিসে আছে। কিন্তু মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর "হে আল্লাহ প্লেগের এই রহমত আমার বাসায় পাঠান" দোয়াকে সুন্নাহ হিসাবে নেবো? নাকি উনার পরবর্তি গভর্নরের ঘোষনা "তোমরা পালিয়ে মরূভুমিতে পাহাড়ে ময়দানে ছড়িয়ে যাও" কে সুন্নাহ হিসাবে নেবো এটা ফিকাহর ব্যপার।
তাই দলিলের গুরুত্ব কম। যে কেউ চাইলে তার মন মতো দলিল আনতে পারে যে কোনো স্বিদ্ধান্তের পক্ষে।
"ওয়ালা তুলকু বি আইদিকুম ইলাত তাহলুকা" - তোমরা নিজেদের হাত দ্বারা নিজেদের ধ্বংশ করো না - আয়াত দিয়ে যে কোনো স্বিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখানো যায় চাইলে। এটা এই করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও দলিল দেয়া হয়েছিলো। এর উপর শুনিয়ে দেয়া যায়, "না মানলে আপনি কোরআন শরিফের আয়াতকে সরাসরি অস্বিকার করছেন।"
তাই দলিল থেকে সাবধান।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হকের উপর রাখুন।