তবলিগের এতাতি বনাম শুরা।
এতাতিদের খবর আমরা পাচ্ছি। একটা সার্কাস শো এর মতো। এর পর শুরাদের দিকে তাকালাম।
কোভিডের আগে নতুন একটা মসজিদে নামাজ ধরছিলাম। ফজরের পরে ডানে বসতো সুন্দর দ্বিনদ্বার পরিষ্কার ভদ্র অনেক লোক তালিমে। বামে বসতো কিছু নাম পরিচয় হীন আজাইরা লোক তালিমে। বুঝতাম তবলিগের দুই গ্রুপ। কোনটা কোন দল?
ইনডিড ভদ্রদের মজমাটা ছিলো এতাতিদের।
ভাঙ্গাচুরা মানুষেরা ছিলো শুরা।
কি বুঝবো? বহু আগে থেকে তবলিগের কাজটা চালিয়ে এসেছে এই নাম না জানা অর্ধশিক্ষিত মানুষেরাই। তাদের দিয়ে কাজটাকে আল্লাহ তায়ালা এত দূর এনেছেন। এর পর উচ্চ শিক্ষিতরা যোগ দেয়া আরম্ভ করে।
আল্লাহ তায়ালা ভাগ করে দিলেন।
শুরাদের কি অবস্থা এখন? চিন্তা করছিলাম।
বলা হয়েছিলো শেষে আলেমরা এই কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিবে। হয়েছে। কোভিডে সময় মতো তারা কাজ বন্ধ করেছে। এখন বাসায় বসে ইবাদত করছে। আহমেদ লাট সাহেবের নির্দশনা শুনছিলাম একজনের কাছে। প্রতিদিন সালাতু তাসবিহ পড়তে হবে। তিন তসবিহের আমলে প্রতি তসবিহের সংখ্যা চারগুন বাড়াতে হবে। আর প্রতিদিন সুরা কাহাফ। ভালো। তাদের নসিহা পড়ছিলাম ইদানিং : বড় হবার চেষ্টা করবে না, বিখ্যাত হবার চেষ্টা করবে না।
এই ভাঙ্গাচুরাদেরই আল্লাহ তায়ালা পার করে আনছে। আমি দেখছি।
স্মার্ট সুসজ্জিত সংগঠিতরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
- Comments:
- কমেন্টে মনে হয় অগ্নি বর্ষন আরম্ভ হয়ে যাবে। :-/