মুসাব্বিহাত আশরা :
[ নিচেরটা মাজহাবি-সুফি পোষ্ট। তাই সালাফি ভাইয়েরা স্কিপ করে যাই প্লিজ। নির্দিষ্ট কিছু কাছের মানুষের জন্য গ্লোবাল শেয়ার দিলাম অনুবাদ করে। নিচের কিছুই হাদিস না। অন্য কেউ আমল করতে চাইলে আগে নিজ নিজ আলেমদের মত জেনে নেই। জাজাকাল্লাহ। ]
মূল আরবি :
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10157227571273176
অনুবাদ :
কুরজ বিন ওবরাহ রাহিমুল্লাহ বলেন যিনি আবদালদের একজন ছিলেন। আমার কাছে শামের এক ভাই আসলেন এবং আমকে হাদিয়া দিয়ে বললেন। যে কুরজ এই হাদিয়া গ্রহন করেন এবং এটা নিয়ামতের হাদিয়া।
বললাম : হে ভাই! কে আপনাকে এই হাদিয়া দিয়েছেন?
বললেন : আমাকে এটা ইব্রাহিম তাইমি দিয়েছে।
"ইব্রাহীমকে কি জিজ্ঞাসা করেছিলেন কে তাকে এই দিয়েছে?"
উনি বলেছেন, আমি কাবার চত্বরে বসে তসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ, তামজিদ পড়ছিলাম। তখন এক লোক এসে আমাকে সালাম দেয় এবং আমার ডান দিকে বসেন। আমি তার থেকে সুন্দর চেহারার কেউকে জীবনে দেখি নি। বা তার থেকে সুন্দর পোশাকের। বা তারা থেকে ফর্সা। বা তার থেকে সুগন্ধের।
তাকে জিজ্ঞাসা করি : "হে আল্লাহর বান্ধা, আপনি কে? কোথা থেকে এসেছেন?"
"আমি খিজির।"
"কি কাজে এসেছেন?"
"এসেছি আপনাকে সালাম দিতে। আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। আর আপনাকে একটা হাদিয়া দিতে।"
"কি সেটা?"
"আপনি সূর্যোদয়ের সূর্যের আলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার আগে, আর সুর্যাস্তের আগে পড়বেন সুরা আলহামদুলিল্লাহ, কুল আউজু বিরাব্বিন্নাস, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক, কুল হুয়া আল্লাহ আহাদ, কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন, আয়াতুল কুরসি প্রতিটা সাতবার করে। এর পর বলেবন সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ওয়ালাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার সাতবার, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের উপর সালাত পড়বেন সাত বার, এস্তেগফার করবেন নিজের, পিতামাতা মু'মিন মুসলিমদের জন্য সাত বার। এর পর পড়বেন
اللهم افعل بي وبهم عاجلاً وآجلاً في الدين والدنيا والآخرة ما أنت له أهل ولا تفعل بنا يا مولانا ما نحن له أهل إنك غفور حليم جواد كريم رءوف رحيم
সাতবার।
দেখবেন দিনে রাতে এটা পড়া যেন আপনার ছুটে না যায়।
আমি বললাম "আমাকে বলেন আপনাকে কে এই হাদিয়া আশ্চর্যজনক দিয়েছেন?"
বললো, "আমাকে দিয়েছে মুহাম্মদ ﷺ"
"এখন আমাকে বলেন এর সোয়াব কি?"
"যখন আপনার মুহাম্মদ ﷺ এর সাথে দেখা হবে তখন জিজ্ঞাসা করবেন এর সোয়াব কি। উনি বলে দেবেন।
ইব্রাহিম তাইমি বলেন। এর পর সে রাতে স্বপ্নে যেন ফিরিস্তা এসে তুলে নিয়ে উপরে উড়ে যায়। এমন কি জান্নাতে প্রবেশ করে। সেখানে যা কিছু আসে দেখে। এর পর উনি সেখানকার দুর্দান্ত নিয়ামতগুলো বর্ননা দেন।
ফিরিস্তাদের জিজ্ঞাসা করেন : কার জন্য এই নিয়ামত?
তারা জবাব দেয় : যে ব্যক্তি আপনার মতো আমল করে।
এর পর বলেন উনি জান্নাতের ফল থেকে খান। এর পানি থেকে পান করেন।
বলেন : এর পর আমার কাছে রাসুলুল্লাহ ﷺ আসলেন। উনার সংগে ৭০ জন নবী। আর ৭০ কাতার ফিরিস্তা। প্রতি কাতার পূর্ব-পশ্চিমের সমান। আমাকে সালাম করলেন, আমার হাত ধরলেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম : ইয়া রাসুলুল্লাহ। খিজির আমাকে জানিয়েছে যে সে আপনার থেকে এই হাদিস শুনেছে।
উনি ﷺ জবাব দিলেন : খিজির সত্য বলেছে। খিজির সত্য বলেছে আর সে যা বলেছে সবই সত্যি। উনি পৃথিবী বাসিদের আলেম। আবদালদের নেতা। সে পৃথিবী আল্লাহর বাহিনিদের অন্তরভুক্ত।
এর পর আমি জিজ্ঞাসা করলাম : ইয়া রাসুলুল্লাহ যে এরকম আমল করলো, কিন্তু আমি যেরকম স্বপ্ন দেখলাম সেরকম স্বপ্ন দেখলো না তাকে কি এরকম কিছু দেয়া হবে?
উনি ﷺ বললেন : যিনি আমাকে সত্য নবি করে পাঠিয়েছেন তার কসম। এর আমল যে করবে তাকেই এটা দেয়া হবে যদিও সে স্বপ্নে আমাকে না দেখে, জান্নাত না দেখে। তার সমস্ত কবিরা গুনাহ উনি মাফ করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা তার উপর থেকে উনার আযাব আর রাগকে সরিয়ে নেবেন। আর বাম দিকের ফেরেস্তাকে বলবেন এক বছর পর্যন্ত তার কোনো গুনাহ যেন না লিখে।
যিনি আমাকে সত্য নবি করে পাঠিয়েছেন তার কসম। এই আমল কেবল সে করবে যাকে আল্লাহ তায়াল সৌভাগ্যবান করে সৃষ্টি করেছেন। আর পরিত্যগ কেবল সে করবে যাকে আল্লাহ তায়ালা দুর্ভাগ্যবান করে সৃষ্টি করেছেন।
এই স্বপ্ন দেখার পরে ইব্রাহীন তাইমি চার মাস পর্যন্ত কিছু খান নি, পানও করেন নি।
আমলের বর্ননা :
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10157309369583176
কাহিনিটা আছে দুটো বইয়ে :
এহইয়া উলুমুদ্দিন, গাজ্জালির।
গুনিয়াতুত তালেবিন, আব্দুল কাদের জিলানির।