ভ্রমন :
"চাকরি করে জীবন শেষ করবেন না। উপভোগ করুন পৃথিবীটা দেখুন ভ্রমন করুন।" তাই পশ্চিমারা ভ্রমন করা আরম্ভ করলো। এই সংসার চাকরি করে জীবন শেষ করলে তো আর হবে না।
১০ বছর ভ্রমন করে এসে দেখে তার সংসার, ক্যরিয়ার, চাকরি, পরিবার কিছু নেই। কিন্তু তাতে কি? ভ্রমন করেছে। জীবনটা উপভোগ করেছে।
নিউজিলেন্ডের শুটারের মেনিফেস্টো পড়ছিলাম। তার আফসোস আফ্রিকান ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি জাতীর সংখ্যা বেড়ে পুরো ইউরোপ দখল করে ফেলছে। আর ইউরোপিয়ানরা আছে কেবল ভ্রমন নিয়ে। সংসারের চিন্তা নেই। সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা নেই। কেবল নিজের জীবন উপভোগ করো। সন্তান নেয়া মানে জীবন শেষ, কারন তারা ভ্রমনে বাধা। তাই কেউ সন্তান নেয় না। সাদা চামড়াদের সংখ্যা তাই কেবল কমছে।
আকাশে প্লেনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে আকাশ চুম্বি তাও চাহিদা শেষ হয় না। মানুষ এখন এত ভ্রমন করছে। জীবনকে উপভোগ করছে।
ভ্রমন। সারা দুনিয়া চলছিলো এর উপর। ইউরোপের ফকিররা পর্যন্ত ভ্রমন করছে। এশিয়ায় খরচ কম। এর উপর মালয়-ইন্দো-থাইলেন্ডের রাস্তায় বসে কিছু ভিক্ষা করলে অনেক টাকা উঠে। সাদা চামড়ার লোকদের মানুষ দান করে বেশি। সিমপেথি আছে। "হায়রে বিপদে পড়ে এখন সে রাস্তায়"। এদের সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে থাইলেন্ডে সাদা চামড়ার ভ্রমন পিয়াসু ভিক্ষুকদের দেখলে পুলিশ ধরে তাদের এম্বাসিতে পাঠিয়ে দিতো। এদের ছবি দিয়ে ফেসবুক ভরা। রাস্তায় বসে ইউরোপিয়ান ভিক্ষা করছে, কারন তাকে ভ্রমন করতে হবে, এটা জরুরি।
বাংলাদেশ কম যায় না। বাড়ির মহিলাদের আটকে রাখতে পারবেন না। প্রতি বছর দুই বার ভ্রমনে যেতে হবে। সৌদিতেও একই অবস্থা। ছুটি হলেই ফ্লাইট, প্লেন, দেশ, বিদেশের হোটেল সব ভেঙ্গে পড়ে সৌদি ভ্রমন পিয়াসুদের চাপে।
এর পর এখন আল্লাহ তায়ালা হটাৎ করে করোনা ভাইরাস পাঠালেন।
রাতা রাতি সব শেষ।