তৌবা :
১
মুসলিমদের পাপ গোপন রাখতে হয়। প্রকাশ করতে হয় না। তৌবাও হয় গোপনে। তার আর আল্লাহর মাঝে।
খৃষ্টানদের তৌবায় পাপ প্রকাশ করতে হয়। নয়তো তৌবা হয় না। আমার পাপের কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করলে এটা তৌবা। এ থেকে তাদের কনফেশন।
আচ্ছা : আকিদা কি গোপন রাখতে হয় নাকি জোরে প্রকাশ?
২
স্পেনিশ ইনকুইজিশন নামে একটা জিনিস আরম্ভ হয় ইউরোপে মুসলিমদের পতনের যুগে খৃষ্টানদের মাঝে। খৃষ্টানরা শহরে শহরে গ্রামে গ্রামে এসে বলে "তৌবা করো হে কাফের"। মানে তাদের কাফের।
"কিন্তু আমি তো খৃষ্টানই?"
"তুমি আসল খৃষ্টান না। আকিদায় সমস্যা আছে।"
এর পর তাকে ধরে টরচার মেশিনে বসানো হতো। এই মেশিনগুলো তাকে হত্যার জন্য তৈরি হয় নি। কিন্তু তাকে তৌবা করানোর জন্য তৈরি। না মেরে তাকে প্রচন্ড কষ্ট দেয়া। সে তার পাপ প্রকাশ্যে স্বিকার করবে তবে সে আসল খৃষ্টান হলো।
৩
এই টর্চার মেশিনগুলোর বহু বর্ননা ছবি নেটে খুজলে পাবেন। কি করে এগুলো ব্যবহার করতো। কি রকম কষ্ট দিতো। ওয়ার্নি : পড়ার দরকার নেই। ডিপ্রেসড হয়ে যাবেন। আমলের আগ্রহ হারিয়ে যাবে। সবার সব কিছু জানার দরকার নেই।
কিন্তু টর্চার সহ্য না করতে পেরে সবাই স্বিকার করতো, "ঠিক, আমি আসল খৃষ্টান না" কনফেশন "এখন হলাম"।
"বলেছিলাম না!" তারা বলতো, "দেখলেন সবই সে স্বিকার করছে"। সবার মাঝেই কুফরি আছে যেহেতু। কেবল টর্চার করলেই বেরিয়ে আসে। এর পর তাদের কাউকে শাস্তি দেয়া হতো বা কাউকে হত্যা করা হতো তার আগের পাপের জন্য।
৪
এই স্পেনিশ ইনকুইজিশন ১৯০০ সালের কিছু আগে পর্যন্তও চলছিলো। ১৪০০ সালে আরম্ভ হয়েছিলো মূলতঃ স্পেইনের মুসলিমদের খুজে বের করে তাদের খৃষ্টান বানাতে। এর পর স্পেইনে আর মুসলিম ছিলো না। খৃষ্টানদের উপরই প্রয়োগ চলতো।
৫
আচ্ছা। মুসলিমদের মাঝে নিশ্চই এরকম কিছু প্রচলিত নেই। মানে আমাদের আকিদা গোপন। আমাদের গুনাহ গোপন। আমাদের তৌবা গোপন। ঈমানের জন্য প্রকাশ্যে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য দেয়াই যথেষ্ট - ঠিক?
কেউ নিশ্চই রাস্তায় ধরে আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না "বলো তো আল্লাহ কোথায়?" বা এ ধরনের কোনো প্রশ্ন। এর পর আমি কিছু না বলে চুপ থাকলে সে নিশ্চই "তৌবা করো হে কাফের" বলে আমাকে হত্যা করবে না।
ঠিক? কেউ আদি খারেজিদের ইতিহাস আর বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকিয়ে আমাকে প্লিজ বলেন যে ঠিক।