আমাদের ছুন্নি জামাতের এক ভাইয়ের কথা চিন্তা করি। সবুজ পাগড়ি পরেন, মজমায় কবরে প্রথম রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে জিয়ারত হবে বলে ফিট হয়ে যান। রাতে দুরুদ পড়েন। আল্লাহর রাসুল ﷺ কে সবচেয়ে বেশি মহব্বত করেন।
এখন এর মাঝে যত কাজ উনি করেন বিরোধিদের ক্ষেপানোর জন্য "তারা সবুজ সহ্য করতে পারে না, তাই আমরা বেশি করে সবুজ পাগড়ি পড়বো"। বা যত কিছু উনার শো অফ আছে বা তর্ক, আক্রমন সেগুলোর কোনো সোয়াব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
কিন্তু এর পরও রাতে আধারে যে দুরুদ উনি সত্যি আল্লাহর রাসুল ﷺ এর মহব্বতে পড়েন সেটার সোয়াব আছে। আন্তরিক ভাবে যতটুকু রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মহব্বত করেন, চ্যালেঞ্জ দেখানো ছাড়া সেটার জন্য উনার নৈকট্য আছে।
নিজেকে তার স্থানে মনে করি। কত দাবি, কত কথা, তর্ক আছে চারদিকে। এর মাঝে আমি সত্যি কতটুকু আল্লাহর জন্য করছি একা একা, আন্তরিক ভাবে, কাউকে কষ্ট না দিয়ে, কাউকে আক্রমন না করে এটা আমার কামাই।
বাকি যত যুদ্ধ চ্যলেঞ্জ আক্রমন আমি করছি এগুলোর জন্য আমি কোনো সোয়াবের আশা করি না।
সেই সুন্নি ভাইয়ের মতো। সে যতক্ষন "হক প্রতিষ্ঠার ঝগড়া" না চালিয়ে সব কিছুই গোপনে আল্লাহর জন্য করে, ততক্ষন তার আর একজন সালাফি ভাইয়ের মাঝে তেমন কোনো পার্থক্য আমি দেখি না। যার যার আমল ইখলাস আর তাকওয়ার উপর ফয়সালা। আমিও এদের মাঝে তৃতীয় জন।
বাইরে বের হয়ে হক প্রতিষ্ঠার ঝগড়া নিয়ে আসলে, কে জানে, আলেমদের জন্য হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে হাশর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দেখতে এর জন্য কোনো পুরষ্কার আছে, নাকি আমি নিজের ক্ষতি করে এসেছি।
আমি যেভাবে দেখি।