স্বপ্ন :
মহামারী চলাকালে পূর্ববর্তী বুযুর্গদের স্বপ্নে প্রাপ্ত ও পরীক্ষিত কিছু আমলঃ
.
১. কা’আব রা. বলেন, ‘سُبْحَانَ اللهِ’ ‘সুবহানাল্লাহ’ জিকির মহামারীকে রুখে দেয়। ইমাম শাফিঈ রহ. বলেন, মহামারীতে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হল তাসবীহ পাঠ করা। অর্থাৎ ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করা ।
.
২. মা’রিফাত লাভকারী আরিফগনের এক জামাআত বলেন, মহামারীর দিনগুলো তে ১৩৬ বার দোয়ায়ে ইউনুস পড়বে। তাদের অনেকের মতে এটাই ইসমে আজম।
.
لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
.
৩. তাকিউদ্দীন সাবকী রহ. ৪০৯ হিজরির মহামারী চলাকালে তার ছেলে আবু হামিদের কাছে পত্র লিখেন যে, জনৈক নেককার ব্যক্তি রাসূল সা.-কে স্বপ্নে দেখেন। তিনি লোকজনকে নিচের দোয়াটি পড়তে বলেন,
يَا وَدُوْدُ يَا وَدُوْدُ، يَا ذَا الْعَرْشِ الْمَجِيْدِ، يَا مُبْدِئُ يَا مُعِيْدُ، يَا فَعَّالَ لِّمَا يُرِيْدُ، اَسْأَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الَّذِيْ مَلَأَ أَرْكَانَ عَرْشِكَ، وَ بِقُدْرَتِكَ الَّتِيْ قَدَرْتَ بِهَا عَلَى خَلْقِكَ، وَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسَعْتَ كُلَّ شَيْئٍ، اِرْفَعْ عَنَّا هَذَا الْوَبَاءَ
.
৪. শিহাবুদ্দিন ইবনু আবি হাজলা রহ. বলেন, ৭৬৪ হিজরিতে মিশরে মহামারির ব্যপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কিছু নেককার লোক রাসূল সা.-কে স্বপ্নে দেখেন। তিনি তাদেরকে এই দোয়া শিখিয়ে দেন,
.
اَللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنَ الطَّعْنِ وَ الطَّاعُوْنِ وَ عَظِيْمِ الْبَلَاءِ فِي النَّفْسِ وَالْأَهْلِ، وَالْمَالِ وَالْوَلَدِ، اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ، مِمَّا نَخَافُ وَنَحْذَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ عَدَدُ ذُنُوْبِنَا حَتَّى تُغْفَرُ،اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ، اَللَّهُمَّ كَمَا شَفَّعْتَ فِينَا نَبِيَّنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمْهِلْنَا، وَعَمِّرْ بِنَا مَنَازِلَنَا، وَلَا تُؤَاخِذْنَا بِسُوْءِ أَفْعَالِنَا، وَلَا تُهْلِكْنَا بِخَطَايَانَا يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
.
৫. কেউ কেউ এই দোয়াও পড়েছেন
.
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ، رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُوْنَ، بِسْمِ اللهِ ذِيْ الشَّأْنِ الْعَظِيْمِ الْبُرْهَانِ، اَلشَّدِيْدِ السُّلْطَانِ، مَا شَاءَ اللهُ كَانَ، اَللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنَ الطَّعْنِ وَ الطَّاعُوْنِ وَ الْوَبَاءِ، اَللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ مَوْتِ الْفَجْأَةِ، وَسُوْءِ الْقَضَاءِ، وَجُهْدِ الْبَلَاءِ
.
৬. কেউ কেউ আবার নিচের দোয়াটি লিখে শরীরে বেঁধেছেন (বাঁধতে না চাইলে আঙুলের ইশারায় আঁকা যেতে পারে। বা পড়ে ফু দেয়া যেতে পারে),
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ، وَصَلَّى اللهُ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمْ، اَللَّهُمَّ سَكِّنْ هَيْبَةَ صَدْمَةِ قَهْرَمَانَ الْجَبَرُوتِ بِأَلْطَافِكَ الْخَفِيَّةِ الْوَارِدَةِ النَّازِلَةِ مِنْ بَابِ الْمَلَكُوْتِ حَتَّى نَتَشَبَّثَ بِلُطْفِكَ، وَنَعْتَصِمَ عَنْ إِنْزَالِ قُدْرَتِكَ، يَا ذَا الْقُدْرَةِ الْكَامِلَةِ، وَالرَّحْمَةِ الشَّامِلَةِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِ كْرَامِ
.
৭. কেউ কেউ ১৩৬ বার এই দোয়া পড়তে বলেছেন,
.
اَللَّهُمَّ يَا لَطِيْفُ أَسْأَلُكَ اللُّطْفَ فِيْمَا جَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيْرُ
.
৮. এছাড়াও ১৩৬ বার ‘اَلْمُؤْمِنُ’ ‘আল মু’মিনু’, ৮৮ বার ‘اَلْحَكِيْمُ’ ‘আল হাকীমু’, ৮৯০ বার ‘اَلْحَفِيْظُ’ ‘আল হাফীজু’, ৩০০ বার ‘اَلرَّقِيْبُ’ ‘আর রাকীবু’ এবং ১০ বার ‘ছানা’ পাঠ করার বর্ণনা পাওয়া যায়।
.
সূত্রঃ ১. বাযলুল মাঊন ফি ফযলিত তাঊন (ইবনু হাজার আসকালানী), ৩৩২, ৩৩৩।
২. মা ইয়াফআলুহুল আতিব্বাউ ওয়াদ দাঊনা বিদাফই শাররিত তঊন (মুরঈ ইবনু ইউসুফ মাকদিসী হাম্বলি), ৪৮, ৪৯।
সোর্স : লিংক কমেন্টে।
- Comments:
- https://www.facebook.com/aysb.82/posts/256377112071783