Post# 1585560124

30-Mar-2020 3:22 pm


(collected)

#১প্রশ্ন বর্তমান অবস্থায় করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে মসজিদ গুলো বন্ধ-করা-বা-জুমা-ও-জামাত-স্থগিত-করার-শরয়ী-বিধান-কি ?

#উত্তর: কোনো ধরনের বিপদ-আপদ, আতঙ্ক, রোগ, মহামারীর সময় মসজিদ গুলোতে জুমা, জামাতের সাথে নামায আদায় হতে মুক্ত করা বা মসজিদ বন্ধ ঘোষণা করার কোন বৈধতা ইসলামী শারীয়তে নেই।
কঠিন যুদ্ধের রণ ক্ষেত্রেও 'সালাতুল খওফ' নামক নামাযের বিধান কুরআনে দিয়েছে, তবুও মসজিদে নামায আদায় বন্ধ করেনি, কারণ; পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে মসজিদ।
তা আল্লাহর ঘর।
আল্লাহর রহমত।
বরকত নাযিলের স্থান।
বিপদের সময় আল্লাহর দিকে ফিরে আসার নির্দেশ কুরআন দিয়েছে।
সকল বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির পথ হচ্ছে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাওবা করা ও ইস্তিগফার করা ( সুরা বাকারা ১৫৩ ও ১৫৫-১৫৭)

অন্যত্র আছে

ظَهَرَ الْفَسَادُ فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ اَيْدِى النَّاسِ لِيُذِيْقَهُمْ بَعْضَ الَّذِىْ عَمِلُوْا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ
মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে; যার ফলে তদেরকে তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে করে তারা ফিরিয়া আসে। (সুরা রুম:৪১)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَخِي، حُذَيْفَةَ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ ‏:‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى ‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে সলাত আদায় করতেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩১৯

বি.দ্র. আল্লাহ না করুন যদি কোন এলাকায় মহামারী বন্যা, প্লাবন, খোদায়ী গযব দ্বারা প্রায় মানুষ ধ্বংস হয়ে যায় সে বিশেষ ক্ষেত্রেই মসজিদ বন্ধ করার অবকাশ আছে।

#২প্রশ্ন-মসজিদে সাধারণ লোকদের আসতে নিষেধ- করা বিশেষ করে করোনা রোগে আক্রান্ত বা রোগের আলামত বিদ্যমান লোকদের নিষেধ করার নির্দেশ দেয়া যাবে কি না শরিয়ত কি বলে ?

মসজিদে সমূহে মৌলিক ভাবে তিন ধরনের লোক নামায আদায় করি থাকে:
#ক.যারা রোগী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা আক্রান্ত হওয়ার আলামত যাদের মধ্যে বিদ্যমান এমন লোকদের জন্য জুমা ও জামাতের কি হুকুম?

قال القاضي: قالو ويمنع من المسجد والاختلاط بالناس
সহিহ মুসলিম বি শরহেন নববী ১৩/১৯১
বাবু ইজতিনাবিল মাজযুম.
কেফায়াতুল মুফতি: খ ৩/ প১৩৮

#উল্লেখ্য: এই হুকুম এই আকিদা বিশ্বাসের সাথে নয় যে, করোনা রোগীর সাথে সমাগম হলেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাবে, করণ; আল্লাহর হুকুম ছাড়া সত্তাগত ভাবে রোগ সংক্রমণ হয় না।
আল্লাহর হুকুম হলেই তা হয়।

#খ. যে সমস্ত লোক সুস্থ ও ভালো আছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চত বা প্রবল কোন আলামত নেই, তবে করোনায় আক্রান্তের শুধু সম্ভাবনা আছে তাদের শরিয়তের বিধান কি ?

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: «لَوْلَا مَا فِي الْبُيُوتِ مِنَ النِّسَاءِ وَالذُّرِّيَّةِ أَقَمْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ وَأَمَرْتُ فِتْيَانِي يُحْرِقُونَ مَا فِي الْبُيُوتِ بِالنَّارِ» .

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

মহানাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ যদি ঘরে নারী ও শিশুরা না থাকত তবে আমি ‘ইশার সলাতের জামা‘আত আদায় করতাম এবং আমার যুবক দেরকে (জামা‘আত ত্যাগকারী) মানুষদের ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিতাম। (আহ্মাদ) [১]

মুসনাদে আহমাদ ৮৭৯৬
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১০৭৩

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؓ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: «مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَا صَلَاةَ لَه إِلَّا مِنْ عُذْرٍ»

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আযানের শব্দ শুনল অথচ এর জবাব দিলো না তাহলে তাঁর সলাত হলো না। তবে কোন ওযর থাকলে ভিন্ন কথা।

সহীহ : ইবনু মাজাহ্ ৭৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ৪২১, দারাকুত্বনী ১৫৫৫।
সুনান আদ্দারিল কুতনি ১৫৭৪

قال قاضي صفد محمد القرشي: في(شفاء القلب المحزون في بيان ما يتعلق بالطاعون/مخطون) متحثا عن الطاعون سنة ٧٦٤هجري《 وكان هذا كالطاعون الأول عمّ البلاد وأفنى العباد وكان الناس به على خير عظيم: من إحياء الليل، وصوم النهار، والصدقة، والتوبة...فهجرنا البيوت؛ "ولزمنا المساجد"،

#উল্যেখ্য :১৭তম হিজরীতে 'আমওয়াস' নামক মহামারীতে বড় বড় বেশ কয়েকজন সাহাবী (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)সহ প্রায় ২৫ হাজার মুসলমান শহীদ হয়ে ছিলেন। (তারীখে উম্মতে মুসলিমাহ, মাওলানা ইসমাইল রাইহান, ১/৫৬৩)
এদত সত্যেও কোন সময় মসজিদ বন্ধ করা হয়নি। জামাত,জুমা চালু ছিল। বরং কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, প্লেগ রোগের মত মহামারীতে সাহাবা ও তাবিয়ীগণ সবায় মসজিদের দিগে ধাবিত হয়ে ছিলেন।

فتابنو ریہ آن لآئن، (فتوی نم144107200537 )
مذکورہ بالا تفصیلات سے معلوم ہوا کہ انتظامیہ یااہل محلہ کا مسجد میں جماعت سے نماز ثڑھنے پر پابندی لگانا جائز نہیں ہے، جمعہ اور پنج وقتہ نمازوں کے علاوہ اوقات میں مساجد بند کرنےکي اجازت ہے- مساجد کو بالکلیہ معطل کرنے اور ان میں نمازوں اور ذکر پر پا بندی لگانے کے حوالے سے نصوص میں سخت وعید وارد ہوئی ہے اور ان کے اس عمل کو "ظلم " قرار دیا گیاہے،

قال تعالى: وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللّٰهِ اَنْ يُّذْكَرَ فِيْهَا اسْمُهٗ وَسَعٰـى فِىْ خَرَابِهَا ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَّدْخُلُوْهَآ اِلَّا خَآٮِٕفِيْنَ ؕ لَهُمْ فِى الدُّنْيَا خِزْىٌ وَّلَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

যে কেহ আল্লাহ্‌র মসজিদ সমূহে তার নাম স্মরণ করতে বাধা প্রদান করে এবং তা বিনাশ সাধনে প্রয়াসী হয় তার অপেক্ষা বড় জালিম কে হতে পারে ? অথচ ভয়-বিহ্বল না হয়ে তাদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা সংগত ছিল না। পৃথিবীতে তাদের জন্য লাঞ্ছনা ভোগ ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। (সুরা বাকারা১১৪)

গ. জরুরী অবস্থায় করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসন যদি কোন শহর, এলাকা বা পুরো দেশে লকডাউন ঘোষণা করে বা কারফিউ জারি করে সে পরিস্থিতিতে মসজিদ আবাদ রাখার কি হুকুম ?

উত্তর: সরকার যদি সকল প্রকার জনসমাগম ইত্যাদি থেকে জনগণকে কঠোরভাবে নিষেধ করে, সে ক্ষেত্রে সে সকল পরিস্থিতিতে মসজিদ আবাদ রাখা আবশ্যক হলেও সরকারী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনও জরুরী হবে। এমতাবস্থায় মসজিদে আযান, জুমা, জামাত স্বল্প সংখ্যক মুসল্লি দিয়ে আবাদ রাখার শর্তে আম/সাধারণ মুসল্লিগণ মসজিদ থেকে বিরত থেকে নিজ নিজ ঘরে ছোট ছোট জামাত করে নামায আদায় করতে হবে।

الفتاوى الهندية: ١/١٥٨، دار الفكر
الإمام إذا منع أهل المصر أن يجمعوا لم يجمعوا قال الفقيه أبو جعفر -رحمه الله تعالى- هذا إذا نها هم مجتهدا بسبب من الأسباب وأراد أن يخرج ذلك الموضوع من أن يكون مصرا فأما إذا نهاهم متعنِّتا أو ضرارا بهم فلهم أن يجتمعوا على رجل يصلي بهم الجمعة، كذا في الظهيرية.

المبسوط للسرخسي:٣٣/٢، دار المفرفة
(قال) وإذا فزع الناس فذهبوا بعد ما خطب الإمام لم يصل الجمعة إلا أنْ يبقى معه ثلاثة رجال سواء لأن الجماعة من شرائط إفتتاح الجمعة. وقد بيّنَّا اختلا فهم في مقدارها وإن بقي معه ثلاثة من العبيد أو المسافرين يصلي بهم الجمعة لأنهم يصلحون للإمامة فيها بخلاف ما إذا بقي ثلاثة من النساء أو صبيان وإن كان صلى بالناس ركعة ثم ذهبوا أتم صلاته جمعة عندنا.

#৩প্রশ্ন-করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মসজিদ বন্ধ রাখা ও জামাতে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা যাবে কি?

#উত্তর: কোন রাষ্ট্রপ্রধান যদি দেশ ও জনস্বার্থে এমন কোনো আইন প্রণয়ন করে যা শরীয়ত বিরোধী নয়, তাহলে জনগণের জন্য উক্ত পালন করা আবশ্যক এবং রাষ্ট্র প্রধানের জন্যও এধরণের আইন করার অবকাশ আছে। আর মসজিদ আবাদ করা যেহেতু ফরয কেফায়া তাই সরকার যদি করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মসজিদ একেবারে বন্ধ করে দিতে চায়, তাহলে তা শরীয়ত বিরোধী হওয়ায় সরকারের জন্য এই আইন করা বৈধ হবে না। যদি কোন সরকার এমন আইন করে, তাহলে সম্ভব হলে অবশ্যই কিছু লোক হলেও মসজিদে গিয়ে নামায পড়া জরুরী

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ.

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ যতক্ষণ আল্লাহর নাফরমানীর নির্দেশ দেয়া না হয়, ততক্ষণ পছন্দনীয় ও অপছন্দনীয় সকল বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তার মান্যতা ও আনুগত্য করা কর্তব্য। যখন নাফরমানীর নির্দেশ দেয়া হয়, তখন আর কোন মান্যতা ও আনুগত্য নেই।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৪৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

#ردالمحتار-٢٨٨/٢زكري
ويردعليه ما مرعن النهر، إلا أيجاب بأن قول العراقيين يأثم بتركها مرّةً مبنيًّ على القول بأنَّها فرض عين عند بعض مشائخنا كما نقله الزيلعيُّ وغيره،أو على القول بأنها فرض كفاية كما نقله في القنية عن الطحاويّ والكرخي وجماعة، فإذا تركها الكل مرةً بلا عذرٍ أثموا فتأمل.
#উল্লেখ্য: অনেকে করোনা ভাইরাস বাচার জন্য মসজিদ বন্ধ রাখা ও না আসার অবকাশ দিয়েছেন এবং তারা দলিল হিসাবে নিম্নে বর্ণিত হাদিস পেশ করে থাকেন।

مُسَدَّدٌ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ أَذَّنَ ابْنُ عُمَرَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ بِضَجْنَانَ ثُمَّ قَالَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ أَوْ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ.

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, প্রচণ্ড এক শীতের রাতে ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) যাজনান নামক স্থানে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেনঃ তোমরা আবাস স্থলেই সালাত আদায় করে নাও। পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আযান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর। (৬৬৬; মুসলিম ৬/৩,
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

কিন্তু বাস্তবতা হল, উক্ত হাদিস ওই সকল ব্যক্তির প্রযোজ্য হবে যারা বাস্তবেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা যাদের মাঝে করোনা আলামত দেখা দিয়েছে, তাদের জন্য জামাত ও জুমায় শরিক না হওয়ার আবকাশ আছে। তবে যারা বাস্তবেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না বা যাদের মাঝে করোনার কোন আলামত প্রকাশ পায়নি, তাদের জন্য সন্দেহের ভিত্তিতে জামাত ও জুমায় শরিক না হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বরং যারা সুস্থ তথা এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি, তাদের জন্য শরীয়তে মসজিদে এসে নামায পড়ার গুরুত্বারোপ করেছে। তাই শুধু ألا صلوا في الرحال হাদিসের এই অংশ দিয়ে মসজিদ বন্ধ করা ও মসজিদে নামাযিদেরকে আসতে বাধা দেয়ার কনো অবকাশ নেই। কেনা অন্যান্য বর্ণনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে 'তাদের মধ্যে থেকে যারা চায় তারা আসবে না। (তবে যারা চায় তাদের আসার অবকাশ আছে)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَمُطِرْنَا فَقَالَ ‏ "‏ لِيُصَلِّ مَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فِي رَحْلِهِ ‏"‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি এক সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গী ছিলাম। ইতোমধ্যে বৃষ্টি হলে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কেউ চাইলে নিজের জায়গাতে অবস্থান করে সেখানেই সলাত আদায় করে নিতে পারো।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১০৬৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

এমনকি সালাফের আমল থেকেও এর বেতিক্রম প্রমাণিত আছে অর্থাৎ ইসলামের শুরু যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কোন যুগে কোন মহামারীর কারণে মসজিদ একেবারে বন্ধ করার প্রমাণ পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত ألا صلوا في الرحال হাদিসের এ'লানের উদ্দেশ্য ছিল, কেউ যদি ওযরের কারণে ঘরে নামায আদায় করতে চায়, তাহলে তার জন্য অবকাশ থাকবে এবং সে যেন আযান শোনা মাত্রই মসজিদে আসার জন্য ব্যস্ত না হয়ে পড়ে।

والله أعلم بالصواب

30-Mar-2020 3:22 pm

Published
30-Mar-2020