বাংলাদেশে যেমন ইসলামি ফাউন্ডেশন মিটিং করে ডিকশেনারি থেকে চারটা বাংলা শব্দ জোড়া দিয়ে একটা ঘোষনা পত্র দিয়েছে যার কোনো অর্থ নেই। তেমনি পাকিস্তানেও মুফতি তাকি উথমানি সাহেব সকল দলকে এক করে একটা ঘোষনা পত্র দিয়েছেন। তবে এটার অর্থ আছে এবং এতে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
ভিডিও লিংক কমেন্টে। সামারি নিচে :
করোনা ভাইরাস ইস্যুতে আল্লামা মুফতি জাস্টিস তকি উসমানীর নেতৃত্বে
সকল ইসলামি ধারার পাক-আলেমদের সম্মিলিত ব্রিফিং ও ঘোষণাপত্র
সম্মিলিত ঘোষণা পত্রে যা বলা হয়েছে:
★ পুরো জাতি তওবা করবে, সরকারের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে তওবা-ইস্তিগফারের ব্যাবস্থা করা এবং মিডিয়ার অশ্লীল সব কর্মসূচী বন্ধ করতে হবে।
★ মসজিদ খোলা থাকবে এবং সেখানে আযান ও জামা'আত জারি থাকবে।
★ সমস্ত মুসল্লি অযু ঘরে করবে এবং সুন্নাত ও নফল সালাত ঘরে আদায় করবে।কেননা চিকিৎসাবিদ্যার আলোকে সংস্পর্শের কারণে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
★ চিকিৎসাগত কারণে সরকার যদি নামাজিদের সংখ্যার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তবে শার'ঈ দৃষ্টিকোণে তারা মা'যুর অথবা বয়োবৃদ্ধ কাউকে যদি সরকার মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তবে সে মা'যুর হওয়ায় ঘরে জামাআত সহ সালাত আদায় করবে, তা চায় কোন একজন মহিলা মহররমকে নিয়ে হলেও। আর না হয় একা আদায় করবে।
★ যারা করোনা ভাইরাসের শিকার বা অন্যান্য রোগ ব্যাধি ও সর্দি কাশি দ্বারা আক্রান্ত, বা যারা পঞ্চাশোর্ধ অথবা কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভাইরাসের শিকার হওয়ার আশঙ্কাগ্রস্থ তারা যেন ভাইরাস সংক্রমণকালীন পুরো সময়কাল পর্যন্ত মসজিদে না আসে, এমতাবস্থায় তারা জামা'আতে শরিক হওয়ার সওয়াব পাবেন।
★ মসজিদের কার্পেট উঠিয়ে ফেলবে ও ফ্লোর নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখবে এবং মসজিদের দরজা ও গেইটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখবে।
★ জুম'আর দিন কোন বয়ান হবে না। কেবল খুতবার আগে পাঁচ মিনিট ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক শরঈ ও মেডিক্যালিক আলোচনা হবে এবং সালাতের পর অতি দ্রুত মসজিদ ত্যাগ করবে।
★ যে সমস্ত রোগী বা বয়োবৃদ্ধদের সরকার ঘরে সালাত আদায় করতে বলেছেন তারা জুম'আর সালাতের পরিবর্তে যোহরের সালাত ঘরে আদায় করবে।
★ নাবালেগ বাচ্চারা মসজিদে আসবে না।
- Comments:
- https://www.facebook.com/harunizhaar/videos/607152643199980/