শেষ যুগ। মানুষ এমন জিনিস দেখবে যে রাতারাতি ঈমান হারিয়ে ফেলবে বলা আছে। খুব সাবধান।
আরো কিছু কথা।
১
আল বিদায়ায় দুটো ঘটনার কথা উল্লেখ আছে দুই খন্ড। অনেক বড় বুজুর্গ। ওলিদের মতো ইবাদতে থাকতেন। এর সংগে মুজাহিদও। কাফেরদের দূর্গ ঘেরাও করেছে। সে মুজাহিদদের সাথে বাইরে। দুৃর্গের ভেতর এক মেয়েকে দেখে সে পাগল হয়ে যায়। সে তার দ্বিন ছেড়ে কাফের হয়ে ঐ মহিলাকে বিয়ে করে। এই অবস্থায় মৃত্যু।
এরকম আরেকটা ঘটনা।
২
বাগদাদের একটা ঘটনা মশহুর আমাদের তরিকত পন্থিদের মাঝে। উনি একদম প্রথম পীরদের একজন ছিলেন সম্ভবতঃ আব্দুল কাদের জিলানীর শায়েখ। সফরে এক খৃষ্টান মহিলাকে দেখে আশেক হয়ে যায়। ঐ মহিলা শর্ত দেয় আমাকে বিয়ে করতে হলে তোমাকেও খৃষ্টান হতে হবে। সে তাই হয় এবং মেয়েকে বিয়ে করে। এর পর তাকে ফিরানোর জন্য পরে যখন উনার মুরিদরা যায় দেখে সে ঐ মহিলার শুকর চরাচ্ছে। "কিছু কি মনে আছে আপনার পূর্ন কোরআন হাফেজ ছিলেন, এত হাদিস।" -- একটা আয়াত বললেন যাতে এটাই উনার পরিনতি বুঝা যায়।
৩
কেন?
এক বুজুর্গ জানতে চেয়েছিলেন কেন তাদের এমন হলো? সে জবাব পেলো ঐ ওলি সেই খৃষ্টান মহিলাকে দেখে অন্তরে একটু আত্মদম্ভ করেছিলো "আমি হিদায়ত প্রাপ্ত আর সে পথভ্রষ্ট।"
আত্মদম্ভের জন্য।
৪
কেন? আবারও।
আগের পোষ্টে লিখেছিলাম দুনিয়ার বুকে যে ব্যক্তি প্রথম লিখেছে এই সৃষ্টির কোনো স্রষ্টা নেই, অথচ এর আগে সে বাইরে গিয়ে আকাশে তাকালে আল্লাহর আরশ দেখতে পারতো।
কেন? আরেক বুজুর্গের প্রশ্ন ছিলো। সে জবাব পেলো সেই বান্দা তার ঐ আরশ দেখতে পারার নিয়ামতের জন্য কখনো আল্লাহর শুকরিয়া করে নি। তাই।
না-শুকরিয়ার জন্য।
৫
কেন?
গাজ্জালির কিতাবে আরেক কাহিনি। বুজুর্গ। অনেক ইবাদত। কারামত করতে পারেন। হাল উঠে গেলো। হাল কি? প্রচন্ড আল্লাহর ভয় যে মানুষ পাগলের মতো হয়ে যায়। সে লাফা লাফি করে মাটিতে পড়ে গেলো। মাথা কেটে রক্ত বের হচ্ছে। ঐ রক্ত মাটিতে বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটা লিখার মতো হয়ে। লিখাটা -- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
এটা দেখে আরো বয়স্ক এক বুজুর্গ বললো দেখবে সে শিগ্রই ঈমান হারাবে। সত্যি সে ঈমান হারিয়ে ফেলে।
কেন? বয়স্ক বুজর্গ বললো, সে তার কারামত দিয়ে ঐ কালেমা লিখছিলো মাটিতে। এবং নিজের বুজুুর্গি জাহির করছিলো। তাই।
রিয়ার জন্য।
- Comments:
- আগের পোষ্ট
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10157085573853176