ঈমানের উপর যে কোনো আলোচনাই বিতর্কিত। যে কোনো একটা মতের বিপরিত মতও পাবেন। এবং দেখবেন সেই পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে দুই দলের নাম করা আছে আদি যুগ থেকে।
যেমন কেউ বললো : "ঈমানের কম বেশি আছে...."
বিতর্কিত। দুটো মত আছে যেগুলোর নামকরনও করা আছে। এক দলের মতে ঈমান বাইনারি। হয় আছে বা নেই। কম বেশি হতে পারে না। অন্য দলের মতে কমে বাড়ে।
বা বললেন : "ঈমান অন্তরের ব্যপার..."
বিতর্কিত। ফেসবুকে সালাফি ধারার কিছু পোষ্টারের কথা পড়েছি যারা বলছিলো "ইমাম আবু হানিফা এবং হানাফিরা পথভ্রষ্ট। কারন, তারা বলে শুধু মুখে বললেই ঈমান হয়ে গেলো। কোনো আমল করার দরকার নেই ..."
অর্থাৎ তাদের মতে নেক কাজ না করলে ঈমান আনা হবে না। বা এই ধরনের কিছু। ডিটেলস তাদের কাছে আছে।
Q. "তবে ঠিক কোনটা?"
আপনার দল-মত-শায়েখ-আলেম-মাজহাব-মানহাজ-আকিদা যেটা বলে সেটার উপর চলেন।
তবে কাউকে যদি দেখেন এগুলো নিয়ে খুব বেশি কথা বলছে। খুব বেশি ব্যখ্যা করছে বার বার করে। আপনি বুঝতে পারছেন না, কেন সে একই কথা রিপিট করছে? তবে বুঝে নিবেন সে এই ব্যপারে অধিকাংশ মতের বাইরে একটা কিছু বিশ্বাস করে।
সরাসরি মূল জিনিসটা বলতে পারছে না, কারন অন্যরা সেটার উপর আবার তাকে পাল্টা আক্রমন করতে পারে। ট্যগ দিতে পারে। তাই এর বদলে সে অনেক কথা বলে ঐ জিনিসটা বুঝাতে চাচ্ছে।
"এতে আমার শিক্ষনীয়?"
যে কেউ ঈমানের ব্যাপারে যা বলে, তার সব কথা আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। সে ইমোশোনালি বললেও।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সরল পথে চালান।