করনা ভাইরাস : আতংক ছড়াবেন না
প্রথম কথা। আমি নিজেই আতংকে আছি। তাই কাউকে আতংক ছড়াতে দেখলে আমি প্রচন্ড রেগে যাই। কারন তার কথায় আমার নিজের আতংক আরো বেড়ে যায়। নিজের আতংকের কারনেই আমি আতংক না ছড়ানোর ব্যপারে এত সোচ্চার।
দ্বিতীয় কথা : করোনা ভাইরাসের খবর নিজের পেটের ভেতর রাখুন। এগুলো বাইরে বলবেন না। কারন আতংক ছড়ানোর মানে নেই। আর এই খবরগুলো সত্য না মিথ্যা আপনি জানেন? ওয়েস্টার্ন মিডিয়া যেখানে অনবরত মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, আপনি এই ফাসেকদের বিশ্বাস করছেন?
তৃতীয় কথা : এগুলো ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। তারা এই সব খবর ছড়িয়ে প্রথমে কাবা শরিফ বন্ধ করেছে, এখন মুসলিমদের জুম্মা নামাজ মসজিদ বন্ধ করছে। আর যারা এগুলো ছড়ায় তারা ইহুদিদের এজেন্ট।
চতুর্থতঃ ফেসবুকে যারা এতদিন মুফতি ছিলো, তারা সবাই এখন রাতারাতি ডাক্তার। আতংকজনক স্টেটাস দিয়ে বলছে কি হবে কি হয়। একারনেই কথা আছে নিম মোল্লা খতরে ইমান, নিম ডাক্তার খতরে জান। যুগটাই এমন যে ইঞ্জিনিয়াররা এখন ডায়েটেশিয়ান। যার দ্বিনের কোনো ইলম নেই সে বড় দ্বায়ী। জাতির পতনের বড় কারন।
পঞ্চমতঃ দেশের করনা ভাইরস যে তিন জনের হয়েছিলো তারা তিনজনই এখন সুস্থ। তাই এ ব্যাপারে যে কোনো খবর দেয়ার আগে এলাকার ছাত্রলীগ ভাইদের সাথে যোগাযোগ করে নিন। তারা বলে দেবে কোনটা গুজব আর কোনটা গুজব না।
ষষ্ঠতঃ ৯৯.৯% করনা রোগী সুস্থ হয়ে যায়। হাজারে একজন যারা মারা যায় তারা হলো বৃদ্ধ। যুবকদের কিছু হবে না। তাই আতংকিত না হই। আর বৃদ্ধ যারা মারা যাচ্ছে তারা এমনিও মারা যেতো। বার্ধক্যের জন্য না হলেও মরার ভয়ে আগেই মৃত্যু। বরং যুবকদের এখন নেতৃত্বে আসার সময়।
সপ্তমতঃ কেউ কেউ বলছে ঘরে বসে থাকেন। এ কথা যারা বলে আইসিসিতে রিপোর্ট করে এদের পুলিশে ধরিয়ে দেন। বরং চীন বন্ধ এখন আমাদের সুযোগ কাজ করে দুনিয়ার ব্যবসা দখল করে নেয়া।
// একটি সুশিল পোষ্ট।