গাজিপুরে একটা গার্মেন্টস ফ্যকটরি।
নোটিশ টাংগিয়েছে কর্মিদের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক।
না পড়লে প্রতি ৭ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ১ দিনের বেতন কাটা হবে।
সরকার বলছে, নামাজ পড়ার কথা বলাই অবৈধ।
দ্বিনি ভাইরা বলছেন, এটা ভালো নিয়ম।
আমার মত হলো,
এখানে সব ভালো কেবল বেতন কাটার নিয়ম ছাড়া। এটা জুলুম।
নামাজ না পড়লে ঐ দিন কাজ করতে দেয়া হবে না, তাই বেতন পাবেন না -- সমস্যা নেই।
নামাজ না পড়লে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে -- সমস্যা নেই।
নামাজ না পড়লে বাকি সব কাজ করলেও বেতন পাবেন না -- কারখানার একটা জুলুমের কালচারের পরিচায়ক। হয়তো মেনেজার এটায় অভ্যস্ত। আরো অনেক নিয়ম করে রেখেছে যা করলে কাজ করলেও বেতন পাবেন না।
হয়তো সে এলাকার সব কারখানায় এরকম বেতন কুক্ষিগত করার নিয়ম আছে। হয়ত সারা দেশে ঐ শ্রেনির সব চাকরিতেই এই রকম জুলুম চলে।
কিন্তু এটা জুলুমের টাকা যেটা আমি শ্রমিককে না দিয়ে নিজের কাছে রাখলাম।
এটা আমি দান করে দিলেও তার টাকা তার অমতে নিয়ে আমি দান করছি। গুনাহ হবে। সে প্রাপ্য রয়ে যাবে। আমি জালেমের পরিচায়ক হবো।
দাবি : "কিন্তু তাদেরকে কাজের টাইমেই বলা হচ্ছে নামাজ পড়তে। তাই নামাজ না পড়লে কাজ করলো না।"
এটা নামাজি শ্রমিকরা সব সময় প্রাপ্য। এখানে কোনো এক্সট্রা সুবিধা দেয়া হয় নি। নামাজে বাধা দিলে বরং গুনাহ হতো।