Post# 1581906651

17-Feb-2020 8:30 am


রাসুলুল্লাহ ﷺ উম্মি নবি ছিলেন।


এটা উনার মর্যাদা, উনার সম্মান, দুনিয়াতে উনার পরিচয়। কোরআনে এভাবে আমাদের পরিচয় দেয়া হয়েছে। আগেকার কিতাবে উনার পরিচয় এভাবে দেয়া হয়েছে।

সময় বদলায়। এখন আমরা শিক্ষিত। উনার "উম্মি" পরিচয়ে লজ্জিত হই।

যদি পরিচয় দেইও তবে বলি "হ্যা উনি উম্মি ছিলেন অস্বিকার করছি না।" কিন্তু উম্মির অর্থ যাই করেন না কেন মুসলিমদের অন্তরে লাগবে। "আপনাকে কেউ যদি বলে আপনার বাপ মূর্খ ছিলো আপনার কেমন লাগবে?" - উক্তি।


সময় যায়। এই জিনিসটা আমি ৪০ বছর আগেও দেখি নি। তখন দেশের অধিকাংশ মানুষ ছিলো নিরক্ষর। তারা উম্মি বলতে নিরক্ষরই বুঝতো। এখন বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ব্যখ্যা উম্মি নিয়ে। কোনোটার অর্থ নিরক্ষর না।

একটা সময় যায়, যখন দ্বিন বিকৃত হতে থাকে। এগুলো মানুষ করে ভালোর জন্য। দ্বিনকে আরো উন্নত করতে, আরো সম্মানিত করতে, খৃষ্টানদের থেকে আমরা পিছিয়ে নেই প্রমান করতে।


ইয়াসির কাজির একটা লেকচার শুনছিলাম। স্পেনের মুসলিমরা শিক্ষিত উন্নত। সেখানকার আলেমরা হটাৎ করে সেখানে ঐ সময় দাবি করলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ নিরক্ষর ছিলেন না। বিচার বসলো দুই পক্ষে। উম্মির পক্ষের গ্রুপ ১০০টা প্রমান পেশ করলো। উম্মির বিপক্ষে একটা একটা করে সবগুলো কাটিয়ে দিলো।

"ওয়ামা কুনতা তাতলু মিন কাবলিহি" আয়াত? "কুনতা" শব্দ আছে। অতিত কালে। আগে লিখা পড়া পারতেন না। পরে শিখেছেন।

আল্লাহ তায়ালা ঐ জনপদকে ধ্বংশ করে দিয়েছেন।


এই দ্বিনকে আল্লাহ তায়ালা সবসময় মূলের উপর রাখেন। জনপদকে ধ্বংশ করে হলেও।

আমাদের তেমন কিছু করার নেই। তর্কে জড়ানোর দরকার নেই।

এই দ্বিন আবার ফিরে -- বার বার ফিরে আসে নিজের পথের উপর। এটা আল্লাহ তায়ালার নিয়ম।

আমরা শুধু সাক্ষ্য।

17-Feb-2020 8:30 am

Published
17-Feb-2020