ঈমান হারাতে থাকলে - ২
প্রথমতঃ আমি চুপ করে যাবো। এর পর শাহাদা পড়বো।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10157069109438176
তার পর কি?
৬
বুঝতে হবে এটা আমার "অন্তরের" ব্যপার, "যুক্তির" ব্যপার না।
একেক জনকে আল্লাহ তায়ালা একেক রকমের বোধ দিয়েছেন, কারো কম কারো বেশি। জ্ঞান, যুক্তি, দৃষ্টির বিভিন্ন লেভেল। জ্ঞান কারো কম কারো বেশি।
কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ বুদ্ধির লেভেল থেকে দেখতে পারবে আল্লাহর কথা সত্য, উনার রাসুলের কথা সত্য -- যদি সে সেরকম দেখতে চায়। উল্টো দেখতে চাইলে সে পারবে যদি সে চায়।
এখানে আমার "পছন্দ" পার্থক্যকারি আমি কোনটা করবো। "যুক্তি" পার্থক্যকারি না।
৭
ছাত্রাবস্থায় গাজ্জালির একটা বই পড়ছিলাম। বলছিলেন এক বুজুর্গের কথা। উনি বাইরে গিয়ে আকাশের দিকে তাকালে আল্লাহর আরশ দেখতে পারতেন।
চোখের সামনে দেখছেন। এর পর ঈমানের কি বাকি থাকে?
পরবর্তিতে এক সময় উনি ঈমান হারিয়ে ফেলেন। উনি ছিলেন দুনিয়ার বুকে প্রথম লোক যিনি লিখেছে "এই সৃষ্টির কোনো স্রষ্টা নেই"। মানে নাস্তিকতার বানি। এর আগে সবাই স্বিকার যেতো স্রষ্টা আছে, কিন্তু ভুল জনকে স্রষ্টা মানতো।
শিক্ষা? "প্রমান" সমস্যা না। ঐ লোক প্রমানের শেষ প্রান্তে ছিলো। বরং আমার "পছন্দ" সমস্যা। আমি কোনটাকে পছন্দ করছি কোনটার উপর।
৮
কোরআন শরিফে আল্লাহ তায়ালা বারবার নাস্তিকদের যুক্তির জবাব দিয়েছেন। পড়তে থাকলে পাবেন। এক জায়গায় বলেছেন যদি আল্লাহ তায়ালা উনার সমস্ত ফিরিস্তা নিয়ে বিশাল বাহিনির মতো মেঘের রাজ্যেও চলে আসতেন তবুও কাফেররা বিশ্বাস করতো না। বলতো যাদু।
আমাদের যুগের বৈজ্ঞানিকরা বলতো "দৃষ্টির ভ্রান্তি"। বা এলিয়েন ইনভেশন। এমন এলিয়েন যা নিজেকে সর্বশক্তিমান দাবি করছে।
আল্লাহর সত্যতার প্রকৃত প্রমান পেতে হলে মৃত্যু বরন করতে হবে। একটা মানুষ মারা যাবে, এর পর দেখবে সে আবার জন্ম গ্রহন করেছে, এবং আল্লাহ তায়ালা তার সামনে। "মৃত্যুর পরে" দেখছে এটাই কংক্লুসিভ প্রমান।
মৃত্যুর আগে যাই দেখি সেটা আল্লাহ না। মানুষও তাকে বিশ্বাস করবে না। আল্লাহও মানুষকে এরকম করতে বলেন না।
ঈমান এটাই। মৃত্যুর আগে আল্লাহকে বিশ্বাস করা।
৯
আমি যত যাই বুঝি না কেন, আমার থেকে বেশি বুদ্ধিমান আছে। তারা আমাকে বুঝাতে পারবে আমার বোধ মিথ্যা।
তাদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান আছে। তারা বুঝাতে পারবে আমি যাদের গুরু মানছি তাদের কথা মিথ্যা।
আমার থেকে কম বুদ্ধিমান আছে যাদের যুক্তি আমি হেসে উড়িয়ে দিতে পারি।
সমাধান হলো আমি যে লেভেলে যতটুকু বুঝি, অতটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা। এতটুকুর মাঝে আল্লাহ তায়ালার বিশ্বাস নিয়ে অটল থাকার যথেষ্ট উপাদান আছে।
১০
ছোটবেলায় বুখারি শরিফ পড়ছিলাম। হয়তো ক্লাস ফোর বা ফাইভে থাকতে। সেই বিখ্যাত হাদিসটা পড়লাম খুতবার সময় ওমর রাঃ কে চ্যলেঞ্জ করলো "আপনি এত কাপড় কিভবে পেলেন যে জামা তৈরি করলেন?" উনার ছেলে দাড়িয়ে বললো "আমি আমার অংশ আমার আব্বাকে দিয়েছি"।
কি বুঝবো? ঐ বয়সে আমি বুঝেছিলাম উনার ছেলে বাপকে "বাচিয়ে" দিয়েছে। আমরা যেমন ক্লাসে এক ছেলে অন্য ছেলেকে টিচারের কাছে বাচিয়ে দেই। সত্য মিথ্যা ব্যপার না।
কোরআন শরিফ পড়ে আমি কি বুঝি। আল্লাহর রসুলের কথার আমি কি বুঝি। এটা আমার নিজের অন্তরের রিফ্লেকশন। যুক্তি ঠিক আছে। কথা সেই একই।
আমার অন্তর সেটাই বুঝবে যা আমার অন্তরে আছে।
এটা আমার অন্তরের রোগ।
- Comments:
- #মডারেট_মোজলেম দের জন্য মূলতঃ। বাকিরা আপত্তিকর জিনিস পেতে পারেন।