ঈমান হারাতে থাকলে :
১
শেষ যুগে মানুষ ঈমান হারাতে থাকবে। এটা দাজ্জাল আসার পরে না। বরং আগে। রাতে শুতে যাবে সকালে উঠে দেখবে তার ঈমান নেই। সকালে ঈমান আছে সন্ধায় দেখবে তার ঈমান নেই।
আমরা ঐ যুগের দিকে যাচ্ছি। দ্রুত। তাই কিছু রিমাইন্ডার।
২
১৯০০ সালের আগে খৃষ্টানদের প্রায় সবারই আল্লাহর উপর বিশ্বাস ছিলো। যত বড় বড় সাইন্টিস্ট হোক। এটাকে তারা বলে ফেইথ। ১৯৫০-৬০ এর দিক থেকে সবাই গন হারে ফেইথ হারানো আরম্ভ করে। একেবার চার্চের পাদ্রি থেকে আরম্ভ করে সাধারন মানুষ পর্যন্ত। অবস্থা এমন হয় যে সন্ধায় তাদের কেউ শুতে গেলো, সকালে উঠে দেখে তার ফেইথ নেই।
এই জিনিসটাই মুসলিমদের মাঝে হতে যাচ্ছে আমার আশংকা। এরকম ব্যপক ভাবে। খৃষ্টানদের ঘটনা আমাদের নিদর্শন। হুশিয়ারি।
৩
প্রথম কথা : ঈমানের দুর্বলতার কথা কারো কাছে প্রকাশ না করা। যতক্ষন পর্যন্ত আমি চুপ আছি, আমি ঈমানদার। যে মুহুর্তে আমি প্রকাশ করলাম সে সময় থেকে আমি কাফের।
মু'মিনের অন্তরে সন্দেহ জাগে। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে দিয়ে গিয়েছেন। এগুলো শয়তানের ওসওয়াসা। এটা ঈমান হারানো লক্ষন না। বরং ঈমান থাকার লক্ষন। কিন্তু এগুলো প্রকাশ করলে বিপদ। হাদিসে প্রকাশ করার ব্যপারে নিষেধ করা আছে।
৪
দ্বিতীয়তঃ এর পর শাহাদাহ পড়তে হবে। আংগুল উচু করে। যে যুক্তিগুলোর কারনে আমার টালমাটাল সেগুলোকে জেনারেলাইজ করে। "এই এই কথা নিয়ে আমি সন্দেহে? হে আল্লাহ আমি আপনার প্রতিটা আয়াত বিশ্বাস করি যে অর্থে আপনি নাজিল করেছেন সেই অর্থে। সবগুলো একসাথে।"
আপনার বার বার শাহাদাহ, শয়তানকে দূরে রাখবে। সে চায় না আপনি শাহাদাহ পড়ুন।
৫
ভুল পথ : নিউট্রাল ভিউ নিয়ে এনালাইজে যাওয়া।
কুফর আর ঈমান পাশা পাশি থাকে। একই যুক্তি যা ঈমানদারদের ঈমান বাড়িয়ে দেবে সেটা আরেকজনের কুফরিকে বাড়িয়ে দেবে। এই পৃষ্ঠা আর ঐ পৃষ্ঠা। যুক্তি বদলায় নি একই আছে। মনে করতে হবে দুটোর মাঝে আমি স্বজ্ঞানে আর স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ঈমানকে বেছে নিয়েছি কুফরিকে ছেড়ে।
আমার পক্ষ থেকে একটা সলিড স্বিদ্ধান্ত থাকতে হবে। আমি ঈমানকে বেছে নিলাম। আরবের বুকে আল্লাহ তায়ালা যে নবিকে পাঠিয়েছেন কিতাব দিয়ে, উনার কথা শুনে আমি উনার সকল কথা বিশ্বাস করলাম।
part-1 cont...2
- Comments:
- #মডারেট_মোজলেম দের জন্য। বাকিদের জন্য প্রযোজ্য না।