মানুষ দ্বিনদ্বার হচ্ছে - ২
ইজতেমায় উপচে পড়া ভিড়। বিগত সকল রেকর্ড ভঙ্গ। আজহারি সাহেবের ওয়াজে লক্ষ লক্ষ মানুষ। শত শত পুলিশ ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। দেশে চারিদিকে মাহফিলের পর মাহফিল। অথচ এই সব জায়গায় আগে দেখতাম টাকা তুলে কনসার্ট আয়োজন করা হতো। মানুষের মাঝে দ্বিনের আগ্রহ বাড়ছে। জানতে চাচ্ছে। অনুসরন করতে চাচ্ছে।
৮০ দশকে বাড়ির মহিলারা কাজ করতো, আর বিশ্রামের সময়টা ভিসিআর দেখে কাটাতো। ৯০ এর দশকে বাসায় সারা দিন চলতো ডিশ। হিন্দি নাচ গান। কারো খারাপ লাগতো না কারন বাপ মা ভাই বোন সবাই একসাথে দেখে অভ্যস্ত।
এগুলো সব এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাসায় বাসায় দ্বিনের চর্চা। একজন অন্যজনের কাছ থেকে জানতে থাকে মাসলা মাসায়েল। কি করবো?
এখন দুই জায়গায় শুধু কমার আক্ষেপ করতে দেখছি। একটা তরিকত-পন্থিদের, "মানুষ আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে" সত্যি সত্যি তারা এটা বার বার বলছে।
আর দ্বিতীয় নাস্তিকদের, তসলিমা যা বলে। এর মাঝে তসলিমার কথাগুলো গুরত্বপূর্ন। সে দেখে এসেছে কয়েক যুগ। কমপেয়ার করতে পারে।
অথচ এই তসলিমাই ৮০র দিকে স্বপ্ন দেখতো আর লিখতো ৪০-৫০ বছর পরে দেশে ইসলাম বলে কিছু থাকবে না। মানুষ এগুলো থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।
উল্টো হয়েছে।