এবার মিযানুর রহমান আযহারী :
ব্যসিক সমস্যা হলো একটা স্টাইলে, একটা "আদবে", একটা "মর্যাদা" দিয়ে আমরা দ্বিনের কথা শুনে অভ্যস্ত, স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এর বাইরে কিছু হলে আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যায় "দ্বিন না শেষ হয়ে গেলো।"
এর কিছু আগের উদাহরন : ২০০ বছর আগে : "বাংলা ভাষায় কোরআন অনুবাদ।" বাংলার মতো এমন সাধারনদের হিন্দুয়ানি ভাষায় অনুবাদ করলে কোরআন শরিফের সাথে বেয়াদবি করা হবে।
১০০ বছর আগে : "সাধুর বদলে চলতি ভাষায় কোরআন অনুবাদ।" প্রচন্ড বেয়াদবি। আমরা বাধা দেবো। করতে দেবো না। সব সময় সাধু ভাষায় করতে হবে।
এর বাইরেও "হায়া" আর "বেহায়া"-এর অনেক স্ব নির্ধারিত লিমিট আমাদের মাঝে আছে।
৫০ বছর আগে। কোনো মহিলা যদি শাড়ি পড়ে পেট পিঠ খোলা রাখে তবে এটা হায়া। কিন্তু স্কার্ট পড়ে পেট ঢেকে রাখে কিন্তু হাটুর নিচে খোলা রাখে? তবে বিভৎস বেহায়া। আমরা তাকাতে পারবো না। তাকে ছুরিকাঘাত করা উচিৎ। কিন্তু আপনার কাছে শাড়ি পড়া বেহায়া লাগে না? "না এটাতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।"
এটাকে বলে কালচার। এর সাথে ভালো-মন্দ-যুক্তির সম্পর্ক খুব কম। পুরোটাই ভালো "লাগা" বা মন্দ "লাগা"র সম্পর্ক।
যে যেটাকে "আদব" মনে করে। যার কাছে যেটা "লাগে"।