টাওয়ারের পতনের খাতায় আরো দুই নাম যোগ হলো :
বেরলভী :
তাদের সাথে বাকিদের পার্থক্য সেই আকিদা নিয়ে। তিনটা আকিদা "হাজির নাজির" "নূরের সৃষ্টি" আর "ইলুমুল গায়েব"। ৭-৮ বছর আগে তাদের লিডার হয়ে উঠেন আইনুল হুদা সাহেব। এর পর ইউটুব, নেটে প্রশ্নের জবাব দেন। দলিল দিয়ে। কেউ প্রশ্ন করলো বেরলভিদের আকিদার পক্ষে এই এই হাদিসগুলো সবচেয়ে বড় দলিল। এগুলো কোন কিতাবে আছে বের করে দেন।
এখান থেকে সমস্যা আরম্ভ। আমি যতটুকু দেখেছি। উনি বললেন এই এই হাদিসগুলো কোনো কিতাবে নেই। কিন্তু এগুলো বেরলভিদের একেবারে ফান্ডামেন্টাল জিনিস। বাকি বেরলভিরা ক্ষেপলো।
তর্ক, দ্বন্ধ, দলিল, পাল্টা দলিল।
এখন কয়েক বছর পরে বেরলভিদের শত বছর ধরে দাড়িয়ে থাকা বিশাল বিশাল টাওয়ারগুলো ধ্বসে পড়ছে।
"চেতনা" ধর্ম :
বহু বছর ধরে বহু গালি দিয়ে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছিলো দেশের বাম-নাস্তিক-অমুসলিম আর মুসলিমদের যারা ঘৃনা করে তারা। বহু যুক্তি, বহু গান, বহু কবিতা, বহু গালি, বহু ইন্টিলেকচুয়াল কথা। রাজাকারদের ফাসি চেয়ে বহু চাদা আদায়, বহু নৃত্য, বহু খুপড়ি তৈরি। একটা ইসটাবলিষ্ট টাওয়ার। বহু শক্ত গোড়া। এই ধর্ম বিরোধিরা কাফের। কাফেরদের তারা বলে রাজাকার।
এর পর ৭১ এর সত্যিকারের রাজাকারদের একটা লিষ্ট আল্লাহ তায়ালা ফাস করে দিলেন ঘটনা চক্রে। পেন ড্রাইভে, মন্ত্রীর ফোনে, ভুল ক্রমে। এখন এই ধর্মের বিশাল টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ছে। চেতনাবাজদের ঘরে ঘরে মাতম।
আরেকটা কাল্টের পতন।
নিদর্শন। শেষে কোনটা একা দাড়িয়ে থাকে সেটা দেখার বিষয়।