"তবে কি এখন রওনা দিতে হবে?"
"হ্যা। যেতে হবে।"
হাশরের মাঠ। কিছু কিছু মানুষ উঠছে দুরে দুরে মাটির নিচ থেকে। অন্ধকারে বেশি দূরে দেখা যায় না। সব কেমন ছায়ার মতো।
"কত দূর?"
"আট হাজার কিলোমিটার।"
"এত দূর কিভাবে যাবো? কিছু আছে?"
"না। হাটতে হবে।"
"অনেক দিন লাগবে।"
"দুই-তিন বছর লাগবে যেতে। কিন্তু সমস্যা নেই, এখনো সময় আছে এক হাজার বছর।"
এখানে দাড়িয়ে থাকার কারন নেই। বিরান ভুমি। মৃত। কিছু নেই এখানে। সবাই হাটা ধরেছে মানুষের সেই বিশাল সমাবেশের দিকে। বিচারের মাঠের দিকে।
"কেউ কেউ যে বিশাল কালো বোঝা পিঠে তুলে ঝুকে যাচ্ছে, সেগুলো কি?"
"তাদের গুনাহ।"
কোনো দিকে হাটবো সেটা দেখানোর আর দরকার নেই। হাজার হাজার মানুষ হাটছে। সবাই এক দিকেই যাচ্ছে।
"দেরি হয়ে যাবে না? বিচার যদি আরম্ভ হয়ে যায়?"
"না। দেরি হবে না। সেই মাঠে গিয়ে পৌছানোর পরে আরো ৭০ বছর দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে ফিরিস্তারা আসার আগ পর্যন্ত।"
কিছু কিছু আলো ফুটছে। আরো কিছু পরে সূর্য উঠবে। এখনই রওনা দিতে হবে। সামনে হাজার বছর। কিন্তু যারা গরিব ছিলো তাদের থাকতে হবে শুধু ৫০০ বছর, তাদের জন্য পরের অর্ধেক মাফ।
লম্বা সময়। দুনিয়াতে বেচে ছিলাম ৫০ বছর, তাও কেমন দীর্ঘ মনে হতো। ইতিহাস কপচাতাম।
সূর্য উঠবে, এখনই রওনা দিতে হবে। আধার থাকা অবস্থাতেই।
"তবে যাই।"
"আচ্ছা, যাও।"