জাভেদ কায়সার ভাই :
১
তৌবাকারী দেখার সৌভাগ্য জীবনে অনেকবার হয়েছে। হটাৎ করে যারা ইসলামের সত্যতা আবিষ্কার করে পুরোপুরি স্থির হয়ে যান। এর পর আর তাদের দৃষ্টি আর কোনো দিকে যায় না। তার অন্তরের সাথে আল্লাহর কি সম্পর্ক সেটা আর কেউ জানে না।
তাদের উপর আল্লাহ তায়ালা পরিক্ষা নেন বড়। সত্যি কি দ্বিনের জন্য এখন সে সব ছাড়তে পারে? বিশাল খ্যাতি যশ আনন্দ বিলাশিতা থেকে ধুপ করে নিচে নেমে আসে। এর পর কি শান্তি তারা পায় সেটা তারা জানে। এতেই তাদের আনন্দ। অধিকাংশ সময় অশ্রুতে।
হযরত মুসাইব রা: উনাদের এক উদাহরন। আল্লাহ তায়ালা তাদের খুব বেশি দিন পরিক্ষায় রাখেন না।
২
হজ্জ শেষ হবার পরে মৃত্যু। আগে হলে ভিন্ন, কিন্তু শেষে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এর পরের মৃত্যু হলে নিস্পাপ।
বাড়ি ফিরার আগে মৃত্যু। কারন হাজ্জিরা বাড়ি ঢুকার পর থেকে তার নিস্পাপ অবস্থা আর থাকে না।
মক্কা শরিফে মৃত্যু। কারন কেউ বলেছিলো মদিনাতে সমস্ত হাজ্জিদের বাকিতে কবর হয় না। বাছাই করে কিছু হয়। কিন্তু মক্কার সবার হয় মালাতে।
বাকি আর মালা। এই দুই কবরস্থান থেকে মানুষ সর্বপ্রথম কিয়ামতের মাঠ উঠবে। একে অন্যের দিকে হাটতে থাকবে। এর পর মাঝ জায়গায় দেখা দুই গ্রুপ এক। রাসুলুল্লাহ ﷺ থাকবেন সেই গ্রুপের সাথে। এর পর বাকিদের উঠা।
আল্লাহ তায়ালা উনাকে দিনের পর দিন আইসিইউতে রাখেন নি।
দিনের পর দিন আসুস্থ, টেষ্ট "কি হবে যে ভাই" ভারতে দৌড়ের উপর রাখেন নি।
কালেমা পড়া অবস্থায় মৃত্যু। যা বলে সে মারা যাবে সেই কথাই বলতে বলতে সে হাশরের মাঠে উঠবে।
৩
মুসাইব রা:। অনেক কিছু ছিলো। সব ছেড়েছেন দ্বিনের জন্য। নিঃস্ব অবস্থায় মৃত্যু। এর পর সব কিছুই পেয়েছেন। উনার আসল বাড়িতে যেটা আর কেউ দেখতে পারে নি।
ভিন্ন জন। বিশাল সেলিব্রিতি ছিলেন ২০১১ এর দিকে। সব ছেড়েছেন আল্লাহর জন্য। জেনে বুঝে মেনে নিয়ে। কোনো দ্বিধা না করে। কান্না ছিলো। কিন্তু সেটা বঞ্চনার না। নৈকট্য প্রত্যাশার। তৌবার।
আল্লাহ তায়ালা উনাকে কবুল করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের রাস্তাকেও যেন সহজ করেন।
উনার উপর আমার একটা আগের পোষ্ট এখানে।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10153558819138176