মোটামুটি এবার কান্না দিয়ে শেষ হলো ঢাকার ঈদ।
বিশাল গরুর ব্যপারিদের কান্না।
চামড়া ব্যপারিদের কান্না।
তবে আমি এখনো বলবো এগুলো কিছু অস্বাভাবিকতাকে আল্লাহ তায়ালা স্বাভাবিক করছেন।
ছোট গরু ধুমায়ে বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে ৬০ হাজার টাকার ঘরে যেগুলো।
আর গরুর চামড়া গোস্ত বিক্রি নিষেধ। একটা হাদিসে চামড়া গোস্ত একসাথে নিষেধ করা হয়েছে। হানাফিতে যদি কেউ গোস্ত বিক্রি করে ফেলে তবে সেই টাকা দান করে দিতে হবে। গোস্ত দিয়ে লিখলাম যেন বোধে আসে। চামড়ার হুকুম একই। আমরা এখন চামড়া বিক্রি করাটাকেই নিয়ম-কালচার বানিয়ে ফেলেছিলাম যে কারনে আল্লাহ তায়ালা ধরা খাইয়ে লাইনে ফিরিয়ে আনছেন।
এতদিন আমি গরুর চামড়া আস্ত মাদ্রাসায় দান করে দিতাম, বিক্রি না করে। আর গতবার খাসি দিয়েছিলো, চামড়াগুলো এমনি একজন যে চেয়েছে তাকে দিয়ে দিয়েছি। সে বিক্রি করলে আমার দোষ নেই। যেমন ফকিরদের গোস্ত দান করলে তারা রেইলগেইটে গিয়ে বিক্রি করলে আমার দোষ নেই।
এলাকার ছেলেপেলে বুঝাতো "আমার কাছে বিক্রি করে ঐ টাকাটাই মাদ্রাসায় দিয়ে দেন"।
আমি পাল্টা বুঝাতাম "গরুর গোস্ত বিক্রি করে, টাকাটা কি তোমরা কখনো ফকিরদের দান করো?"
পথ পাবার চেষ্টা। এটাই শেষ কথা তা না।
হয়তো পরে পথ আবার বদলাতে পারে।
কিন্তু দেখতে দেখতে শিক্ষা। মৃত্যু পর্যন্ত।