জাতীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৯৯৯ নম্বরে একসঙ্গে প্রায় দেড় শ ফোন রিসিভ করার সুযোগ আছে। সেবা আরও সহজ করতে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়ে বিটিআরসির কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি অনুমোদন হলে কেউ ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবার নিয়ন্ত্রণকক্ষের ‘মনিটরে’ ওই ব্যক্তির তথ্য (মোবাইলে নিবন্ধনের সময় যেসব তথ্য দেওয়া হয়) ভেসে উঠবে। একই সঙ্গে তিনি কোন জায়গায় আছেন, তাও জানা যাবে। এই সেবা আরও দ্রুত দিতে পুলিশের টহল গাড়িগুলোও প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে কেউ ফোন করলে কাছাকাছি থাকা পুলিশের টহল গাড়িতে সমস্যাটি জানিয়ে সহজে সহায়তা দেওয়া যাবে।
নারী নির্যাতন রোধে ‘১০৯’
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পাচার প্রতিরোধে একটি ‘সেল’ চালু করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘১০৯’ নম্বরে ফোন করে সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই হেল্পলাইনের প্রোগ্রাম অফিসার রাইসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের এই নম্বরে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার ফোন আসে। যিনি ফোন করছেন, তাঁর পরিচয় ও সমস্যা জেনে স্থানীয় প্রশাসনসহ যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে সহায়তা করা হয়।
দুর্যোগের তথ্য জানতে ‘১০৯০’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইনে ফোন করলে দুর্যোগ-সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়। বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, মূলত দুর্যোগের সময়ে এই নম্বরে বেশি ফোন আসে।
‘৩৩৩’
সরকারের এটুআই (অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের অধীনে তথ্য ও সেবা দেওয়ার জন্য এই হেল্পলাইন চালু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। এই নম্বরে ফোন করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কোথায়, কীভাবে করতে হয় সে-সংক্রান্ত তথ্যসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়। কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরও মিলবে এই নম্বরে ফোন করে। আবার সামাজিক সমস্যার কথা জানালে তা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়।
আরও যত হটলাইন
দুর্নীতি প্রতিরোধে হেল্পলাইন (১০৬) চালু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কোথাও দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে পরিচয় গোপন রেখেও জানানো যাবে এই নম্বরে।
এ ছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ১৬১০৮, ঢাকা ওয়াসার ১৬১৬২, নির্বাচন কমিশনের ১০৫, আইন মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল এইডের ১৬৪৩০, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১০৯৮, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬১০৪ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিষয়ে ১৬৫৫৫ হেল্পলাইন রয়েছে।